কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো

কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো, আমাদের মধ্যে কারো কাঁপুনিসহ জ্বর হলে এমন ধারণা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাহলে সত্যিই কি কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো। চলুন আমরা এর বিস্তারিত জেনে নেই। আশা করছি পুরো পোস্ট পড়ার পর কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো এরকম প্রশ্ন আপনার মনে আর উদয় হবে না।

আমাদের মধ্যে কারো যদি কাঁপুনিসহ তুমুল পরিমাণে জ্বর আসে তাহলে সেই সময় আমাদের করণীয় কি হবে তার বিস্তারিত আলোচনা থাকছে আজকের এই পোস্টে। আপনি যদি মনোযোগসহ পুরো পোস্ট পড়নে নেন তবে আশা করা যাচ্ছে যে, কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকবে না। তো বন্ধুরা দেরি না করে বরং মূল আলোচনায় চলে যাই। কাঁপুনিসহ জ্বর এবং ম্যালেরিয়া সম্পর্কে  সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ সহ পড়তে থাকুন।

পেজ সূচিপত্রঃ কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া কিনা সঠিক তথ্য জেনে নিন 

• জ্বর কি আসলে ম্যালেরিয়ার লক্ষণ?
• ম্যালেরিয়ার লক্ষণ সমূহ 
• কাঁপুনি জ্বর হলে করণীয়
• বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর হলে করণীয় কি?
• কাঁপুনি জ্বর ও ম্যালেরিয়ার সঠিক তথ্য
• কাঁপুনি জ্বরসহ ম্যালেরিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেলে করণীয় 
• পরিশেষে

জ্বর কি আসলে ম্যালেরিয়ার লক্ষণ?

ম্যালেরিয়ার লক্ষণ সমূহ

• কাঁপুনিসহ উচ্চ মাত্রায় জ্বর আসতে পারে। জ্বরের মাত্রা অনেক ক্ষেত্রে ১০৪-১০৬ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠতে পারে।
• রক্ত ও পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহনকরতে হবে।
• অনেক সময় ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে। এ সময় সচেতন না হলে পরিবারের অন্যান্যদের মাঝেও এটি ছড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
• বমি বমি ভাব হতে পারে এবং সেই সাথে প্রচুর ঘাম ঝড়তে পারে। এই কারনে এ সময় পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম নিতে হবে।
• অনেক সময় শীত শীত অনুভব হতে পারে।
• অনিদ্রা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
• শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা করতে পারে। অনেক সময় ব্যাথার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে থাকে। এরূপ ক্ষেত্রে, অবহেলা করা যাবে না। দ্রুত বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

কাঁপুনি জ্বর হলে করণীয়

আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন যে কাপুনি দিয়ে জ্বর হলে আসলে এটা ম্যালেরিয়া লক্ষণ হতে পারে। সুতরাং এরকম পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। আর সেই সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো এই বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের মাঝে কারো যদি কাঁপুনি জ্বর হয়ে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিতে হবে। জ্বরের মাত্রা অতিরিক্ত হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অন্যথায় হিৎ এর বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাচ্চাদের কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর হলে করণীয় কি?

শিশু বাচ্চার শারীরিক ধারণ ক্ষমতা বড়দের তুলনায় অনেক কম। তাই বাচ্চাাদের কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসলে মোটেই অবহেলা করা উচিত নয়। এরূপ ক্ষেত্রে পিতা মাতাসহ বাড়ির সকলের দুশ্চিন্তা শুরু হয়। বাচ্চার শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে গেলে কাঁপুনি আসে। শিশু বাচ্চার ক্ষেত্রে, কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো? আবার অনেক সময় কাঁপুনির সাথে খিঁচুনী হতে পারে। এ সময় কোন প্রাথমিক চিকিৎসার অপেক্ষা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট যাওয়া উচিত। আশা করছি, শিশু বাচ্চার কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।

আরো পড়ুনঃ ভিটামিন ই এর ০৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা - ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার

এভাবে আমরা কাঁপুনি জ্বরসহ শিশু বাচ্চাকে ম্যালেরিয়া থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারি। আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো? এবার চলুন কাঁপুনি জ্বর এবং ম্যালেরিয়া সম্পর্কে আজগুবি তথ্যের দিকে কান না দিয়ে ম্যালেরিয়া ও কাঁপুনি জ্বর সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নিই।

কাঁপুনি জ্বর ও ম্যালেরিয়ার সঠিক তথ্য 

সব ক্ষেত্রেই যে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা ম্যালেরিয়ার লক্ষণ এটা কিন্তু বলা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার অনেকগুলো লক্ষণ প্রকাশ পেলেও আসলে ম্যালেরিয়া ধরা পড়ে না। এক্ষেত্রে এটা অন্য কোন রোগ হতে পারে। সুতরাং কারো যদি কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে তাতে করে কেউ না ঘাবড়িয়ে এবং কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো এমন সংশয়ে না পড়ে বরং সঠিক কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন। কারণ উপযুক্ত কারণ না বুঝতে পারলে সঠিকভাবে চিকিৎসা করা আসলেই সম্ভব নয়। 

আর যদি রোগ নির্ণয় করতে আপনি ব্যর্থ হয়ে যান তাহলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট চলে যান। ডাক্তার পরীক্ষা করে দেখবে আসলে কাঁপুনি দিয়ে আসা জ্বর ম্যালেরিয়া কিনা? আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পারছেন 

কাঁপুনি জ্বরসহ ম্যালেরিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পেলে করণীয় 

সাধারণ কোন জ্বরের ক্ষেত্রে হয়তো আমরা খুব বেশি  দুশ্চিন্তা করি না। এমন অবস্থায় বিশ্রাম নিলেই হয়তে অনেক বড় সমস্যা থেকে আমরা বেঁচে যাই। তবে কাঁপুনি জ্বর অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। আসলেই কি তাই? তাহলে, কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো? কারো যদি কাপুনি জ্বরসহ ম্যালেরিয়া ধরা পড়ে তাহলে সময় নষ্ট না করে যতটা দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। অন্যথায় বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  রকেট থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম

সুতরাং সাবধানতা অবলম্বন করুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন। অন্যকে সুরক্ষিত থাকতে সহায়তা করুন। পোস্টটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকে; কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো এমন বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে সহায়তা করুন।

পরিশেষে 

যদিও ম্যালেরিয়া কোন অপরিচিত রোগ নয় তবুও এটি বর্তমান সময়ে অনেক কঠিন আকার ধারণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের খুবই সাবধানে থাকা উচিত। কাপুঁনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো এই বিষয়টিতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসলে যাতে করে সময় নষ্ট না করে ডাক্তারের নিকট নিয়ে যায় তা ভালোভাবে বুঝাতে হবে।

বাচ্চা শিশুর কাঁপুনি জ্বর আসলে কোন ক্রমেই দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের নিকট নিয়ে যেতে হবে। আশা করছি পুরো পোস্টটি পড়ার মধ্য দিয়ে আপনি কাঁপুনিসহ জ্বর হলে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন। আপনাদের সকলের সু-স্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ্ হাফেজ ২৪৬১৪