পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে তা জেনে নিন
পোস্ট সূচিপত্রঃ পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
- পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম
- পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা
- পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা
- পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম
- উপসংহার
পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
যেকোন কারণে পাসপোর্টে ভুল হতে পারে। পাসপোর্টে ভুল হলে তা সংশোধন করা অতীব জরুরী। জাতীয় পরিচয়পত্রে সাথে মিল রেখে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হয়। আগে পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য কোর্টে এফিডেভিট করতে হতো। ই-পাসপোর্ট সেবার মাধ্যমে পূর্বের পাসপোর্টে থাকা ভুল এখন সহজে সংশোধন করা যাচ্ছে। ২০২২ সালে ১৩ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আর কোন কোর্টে এফিডেভিট প্রয়োজন নেই প্রজ্ঞাপন জারি করে তা জানিয়ে দেয়। যার কারণে বর্তমানে সহজে পাসপোর্ট সংশোধন করা যাচ্ছে। যার কারণে পাসপোর্ট সংশোধন সংশোধনের প্রবনতা বাড়ছে। এখন প্রশ্ন হলো পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে ? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে।
১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আবেদনের ক্ষেত্রেঃ
পাসপোর্ট মেয়াদ ৫ বছর ও পৃষ্টা ৪৮ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ৪,০২৫ টাকা
- জরুরী বিতরনঃ ৬,৩২৫ টাকা
- অতি জরুরী বিতরনঃ ৮,৬২৫ টাকা
পাসপোর্ট মেয়াদ ১০ বছর ও পৃষ্টা ৪৮ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ৫,৭৫০ টাকা
- জরুরী বিতরনঃ ৮,০৫০টাকা
- অতি জরুরী বিতরনঃ ১০,৩৫০ টাকা
পাসপোর্ট মেয়াদ ৫ বছর ও পৃষ্টা ৬৪ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ৬,৩২৫ টাকা
- জরুরী বিতরনঃ ৮,৬২৫ টাকা
- অতি জরুরী বিতরনঃ ১২,০৭৫ টাকা
পাসপোর্ট মেয়াদ ১০ বছর ও পৃষ্টা ৬৪ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ৮,০৫০ টাকা
- জরুরী বিতরনঃ ১০,৩৫০ টাকা
- অতি জরুরী বিতরনঃ ১৩,৮০০ টাকা
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে ( সাধারণ আবেদনকারী )
পাসপোর্ট মেয়াদ ৫ বছর ও পৃষ্টা ৪৮ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ১০০ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ১৫০ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট মেয়াদ ১০ বছর ও পৃষ্টা ৪৮ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ১২৫ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ১৭৫ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট মেয়াদ ৫ বছর ও পৃষ্টা ৬৪ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ১৫০ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ২০০ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট মেয়াদ ১০ বছর ও পৃষ্টা ৬৪ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ১৭৫ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ২২৫ মার্কিন ডলার
বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশন হতে আবেদনের ক্ষেত্রে ( শ্রমিক ও ছাত্র )
পাসপোর্ট মেয়াদ ৫ বছর ও পৃষ্টা ৪৮ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ৩০ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ৪৫ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট মেয়াদ ১০ বছর ও পৃষ্টা ৪৮ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ৫০ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ৭৫ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট মেয়াদ ৫ বছর ও পৃষ্টা ৬৪ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ১৫০ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ২০০ মার্কিন ডলার
পাসপোর্ট মেয়াদ ১০ বছর ও পৃষ্টা ৬৪ সংশোধন ফিঃ
- নিয়মিত বিতরনঃ ১৭৫ মার্কিন ডলার
- জরুরী বিতরনঃ ২২৫ মার্কিন ডলার
নির্ভরযোগ্য সূত্রঃ https://www.epassport.gov.bd/instructions/passport-fees। পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগবে আশা করি আলোচনা থেকে তা জানতে পেরেছেন।
পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম
পাসপোর্টে ভুল থাকলে তা সংশোধন করতে হবে। এজন্য আপনার পাসপোর্ট সংশোধনের জন্য আপনাকে আবেদন ফরম করতে হবে। যারা পাসপোর্টের কোনো কিছু পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম পূরণ করা বাধ্যতামূলক। ফরম পূরণ ব্যতীত আপনি পাসপোর্ট সংশোধন এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম কিভাবে পূরণ করবেন।
আরো পড়ুনঃ হার্ডিঞ্জ ব্রীজের ইতিহাস - হার্ডিঞ্জ ব্রিজ কোন জেলায় অবস্থিত
যে ঘরে যে তথ্য দেওয়া দরকার সেই ঘরে সেই তথ্য দেন। ডান পাশে দেখুন ফি প্রদান সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া আছে। এখানে দেখুন ফি’র পরিমাণ, ব্যাংক/মিশনের নাম, শাখা, রশিদ নং, তারিখ দেওয়া আছে। আবেদন করার পর যখন আপনি ব্যাংকে টাকা জমা দিবেন তখন টাকা জমা দেওয়ার রশিদটি সংগ্রহ করে সেই রশিদ দেখে ফরমটি নির্ভূল ভাবে পূরণ করুন।
পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা
বাংলাদেশে সরকারের পাসপোর্ট এবং ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা ফরম দেয়া আছে। আপনি অঙ্গীকারনামার ফরম ডাউনলোড করে নিন। এই লিংক http://www.dip.gov.bd/ থেকে অঙ্গীকারনামার ফরম ডাউনলোড করে নিন। অনেকে প্রশ্ন করে অঙ্গীকারনামা সাদা কাগজে নাকি স্ট্যাম্পে প্রিন্ট করবে ? অবশ্যই অঙ্গীকারনামা সাদা কাগজে প্রিন্ট করবেন। অঙ্গীকারনামায় যে তথ্য গুলো লিখবেন তা অবশ্যই ইংরেজীতে লিখতে হবে। কারণ, পাসপোর্টে আপনার যে তথ্য গুলো দেওয়া থাকবে তা ইংরেজীতে থাকবে বাংলায় নয়।
ফরমে দেখুন সংযুক্তিসমূহ দেয়া আছে। মূলত কোন কোন বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার পাসপোর্ট সংশোধন করতে চাচ্ছেন সেগুলো উল্লেখ করবেন। যদি আপনি জাতীয়পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে লিখুন জাতীয়পরিচয় পত্রের ফটোকপি। যদি আপনি আপনার বাবা-মা নামের তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে লিখুন বাবা-মা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। এরপর আপনার যা যা সংযুক্ত করার দরকার সেগুলো পর্যায়ক্রমে লিখুন।
পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা
আরো পড়ুনঃ রকেট থেকে বিকাশে টাকা পাঠানোর নিয়ম
পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা কী কী লাগে ? পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা করতে আপনার আগের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্মসনদ, পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি ছবি, ৩টি এফিডেভিট ফরম, উকিলের চার্জ তা নির্ভর করে উকিলের উপর, এফিডেভিট করার সময় আবেদনকারীকে উপস্থিত থাকতে হবে। পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামায় যা করার সব উকিল করবে। আশা করি পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।
পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম
জাতীয় পরিচয় পত্রের সাথে মিল রেখে আপনাকে পাসপোর্ট সংশোধন করতে হবে। বিভিন্ন কারণে পাসপোর্টে নামের বানান, জন্ম তারিখ, বয়স ইত্যাদি বিষয় ভুল হয়ে থাকে। আগে পাসপোর্ট সংশোধন করার জন্য কোর্ট থেকে এফিডেভিট করা লাগতো। কিন্তু বর্তমানে খুব সহজে অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে পাসপোর্ট সংশোধন করা যাচ্ছে। পাসপোর্ট সংশোধন করতে কিছু বেসিক নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। এগুলোর বাইরে যদি আর কোন তথ্যের দরকার হয় তা পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনাকে জানিয়ে দিবে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
- প্রথমে কোন কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করুন। আবেদনের প্রিন্ট কপিগুলো সংগ্রহ করুন।
- আপনার পাসপোর্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে মিল রেখে করতে হবে। পাশাপাশি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং জন্ম সনদ লাগবে।
- আপনি যদি বিদেশি দুতাবাসে আবেদন করেন তাহলে আপনার কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্ট লাগবে। সেগুলো হলোঃ JOB ID, STUDENT ID, DRIVING LICENSE এ ধরণের কিছু ডকুমেন্ট।
- ব্যাংকে গিয়ে পাসপোর্ট ফি প্রদানের স্লিপ লাগবে।
- লিখিত আবেদনের ডকুমেন্ট।
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অঙ্গিকারনামা। খুব সাবধানে নির্ভূলভাবে অঙ্গিকারনামা পূরণ করুন। কারণ এই অঙ্গিকারনামার উপর ভিত্তি করে আপনার পাসপোর্ট পরিবর্তন করা হবে। অঙ্গিকারনামা পূরণ করে আপনার স্বাক্ষর করে দিন।
উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে জমা দিন। এছাড়া অতিরিক্ত কোন ডকুমেন্ট যদি চায় তাহলে তা পাসপোর্ট অফিসে জমা দেওয়া লাগবে। কারণ, পাসপোর্টে একেক জনের ভুল একেক রকম। মূলত উপরে যে সকল ডকুমেন্টের কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যেকেরই পাসপোর্ট অফিসে বাধ্যতামূলক ভাবে জমা দেওয়া লাগবে।
আরো পড়ুনঃ কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়
এরপর তারা আপনাকে একটি ডেলিভারী স্লিপ দিবে। তারপর আপনাকে এসএমএস করে জানিয়ে দিবে কখন আপনাকে পাসপোর্ট নিতে আসতে হবে। এরপর পাসপোর্ট অফিস কর্তৃক প্রদত্ত তারিখে ডেলিভারী স্লিপ জমা দিয়ে আপনার পাসপোর্ট নিয়ে আসুন। আশা করি আলোচনা থেকে পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম জানতে পেরেছেন।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক আশা করি পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। পোস্টটি থেকে আশা করি পাসপোর্ট সংশোধন করতে কত টাকা লাগে, পাসপোর্ট সংশোধন আবেদন ফরম, পাসপোর্ট সংশোধন অঙ্গীকারনামা, পাসপোর্ট সংশোধন হলফনামা, পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এই ধরণের সুন্দর সুন্দর ব্লগ পোস্ট করা হয়। পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আপনার সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি। আমাদের সাথেই থাকুন। ২৪৭২৯
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url