কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? একজন মুসলিমের জন্য এ বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কসরের নামাজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। বিশেষ করে একজন মুসাফিরের জন্য কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? এ তথ্যটি জেনে রাখা উচিত। এই আর্টিকেলে কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়
- ভূমিকাঃ কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়
- কসরের নামাজ কাকে বলে
- কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করলে কসরের নামাজ পড়তে হবে
- ভ্রমনে নামাজ পড়ার নিয়ম
- কত মাইল দূরে সফর করলে কসর নামাজ পড়তে হয়
- আমাদের শেষ কথা
ভূমিকাঃ কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়
অনেক সময় আমাদেরকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করতে হয়। যেহেতু আমরা মুসলিম তাই আমাদের জন্য নামাজ বাধ্যতামূলক। আমরা যেই পরিস্থিতির মধ্যেই থাকি না কেন নামাজের ওয়াক্ত হলে আমাদের অবশ্যই নামাজ আদায় করতে হবে। কিন্তু ভ্রমণের সময় সাধারণ নামাজ এর চেয়ে কিছু ভিন্ন ধরনের নামাজ আদায় করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ এসএসসি পাশে পার্ট টাইম জব
আজকের এই আর্টিকেলে কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? এ ছাড়া কসরের নামাজ কাকে বলে? ভ্রমণে নামাজ পড়ার নিয়ম, কত মাইল দূরে সফর করলে কসর নামাজ পড়তে হয়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কসরের নামাজ কাকে বলে?
আমাদের নিজেদের প্রয়োজনের তাকিয়ে অথবা অন্য কোন কারণে আমরা অনেক সময় দেশের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে থাকি। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণকারীকে বলা হয় মুসাফির। আর মুসাফির অবস্থায় নামাজ পড়ার নিয়মকে বলা হয় কসরের নামাজ। অনেকে এদিকে মুসাফিরের নামাজ বলে থাকে।
সাধারণত যারা একটি নির্দিষ্ট পথ অতিক্রম করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে তাদের জন্য শুধু বছরের নামাজ প্রযোজ্য। ইসলামে মুসাফিরের নামাজ এটা মুসলিম পর্যটকের একটি বৈশিষ্ট্য। কারণ লম্বা ভ্রমণ করার পরে চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ দুই রাকাত আদায় করা সাধারণত এটি হলো কসরের নামাজ।
কতটুকু দূরত্ব অতিক্রম করলে কসরের নামাজ পড়তে হবে?
কোন ব্যক্তি যদি তার কাজের উদ্দেশ্যে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করে তাহলে তাকে আমরা আরবি ভাষায় মুসাফির বলে থাকি। মুসাফির অবস্থায় যে নামাজ আদায় করা হয় সাধারণত তাকে মুসাফিরের নামাজ অথবা কসরের নামাজ বলা হয়। এখন কেউ যদি মুসাফির হয়ে থাকে সাধারণত তার জন্য কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? এ বিষয়টি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কোন ব্যক্তি যদি মোটামুটি ৭৭.২৩২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে একই স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়। অথবা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার জন্য নিজ এলাকা থেকে বের হয় সাধারণত তাকে ইসলামিক পরিভাষায় মুসাফির বলা হয়। সাধারণত তখন এই মুসাফিরকে ইসলামের বিধান অনুযায়ী মুসাফিরের নামাজ অর্থাৎ কসরের নামাজ আদায় করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
মুসাফির ব্যক্তি পথিমধ্যে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ কে দুই রাকাত পড়বে। তিন রাকাত বা দুই রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ, ওয়াজিব নামাজ এমনিভাবে সুন্নত নামাজ পূর্ণ পড়তে হবে। এটি হলো পথিমধ্যে থাকাকালীন সময়ের বিধান। যদি গন্তব্য স্থানে প্রচার করে সেখানে ১৫ দিন থাকার নিয়ত হয় তাহলে কসর এর নামাজ হবে না সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
ভ্রমনে নামাজ পড়ার নিয়ম
উপরের আলোচনায় আমরা ইতিমধ্যে কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে এসেছি। যেহেতু আমরা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অথবা যে কোন কাজে আমাদেরকে দূরে ভ্রমণ করতে হয়। মানুষ যদি তার নিজের অবস্থাই থাকে তাহলে তাকে সম্পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হয়। কিন্তু ভ্রমণ অবস্থায় গেলে আল্লাহর পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা রয়েছে অর্থাৎ ভ্রমনে গেলে নামাজ সংক্ষেপে আদায় করতে হয় এটা ইসলামের বিধান।
কোন ব্যক্তি যদি তার নিজের বাসস্থান থেকে ৭৮ কিলোমিটার দূরে কোন এলাকাতে বাড়িতে পাড়ি জমাই তাহলে তাকে ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে মুসাফির বলা হয়। মুসাফির অবস্থায় যে নামাজ আদায় করতে হয় সাধারণত সেই নামাজকে ইসলামী শরীয়তের বিধান অনুযায়ী কসরের নামাজ বলা হয়। কসর হলো আরবি শব্দ এর অর্থ হলো কম করা বা কমানো।
মুসাফির ব্যক্তি যদি ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী নির্দিষ্ট পথ পাড়ি দিয়ে ১৫ দিন এরকম সময় থাকার নিয়ত করে তাহলে তাকে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত পড়তে হবে। এই নামাজকে সংক্ষেপে করার মধ্যে আল্লাহ তায়ালার কল্যাণ রয়েছে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা বলেন, "তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায় কোন আপত্তি নেই।"{সূরা নিসাঃ ১০}
মুসাফির চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা তার মত মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে নামাজ কসর করা জরুরী। এক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়। এ প্রসঙ্গে হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, "আল্লাহতালা তোমাদের নবীর জবানে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।"{মুসলিমঃ ৬৮৭}
কত মাইল দূরে সফর করলে কসর নামাজ পড়তে হয়
যারা বেশি বেশি সফল করে থাকে সাধারণত তাদের জন্য কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? এ বিষয়টি জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকল অবস্থায় চার রাকাতের নামাজ দুই রাকাত আদায় করা আল্লাহ তায়ালার বিধান। তাই আপনি যদি ঘন ঘন সফর করে থাকেন তাহলে কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ কাঁপুনি দিয়ে তুমুল জ্বর ম্যালেরিয়া নয়তো
কোন ব্যক্তি যদি তার নিজের বাসস্থান থেকে অন্য কোন স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং ৪৮ মাইল অর্থাৎ ৭৮ কিলোমিটার দূরত্বে গমন করে তাহলে তাকে চার রাকাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত আদায় করতে হবে। সাধারণত এই নামাজকে আমরা কসরের নামাজ পড়ে থাকি। শহরে চলা অবস্থায় সুন্নত নফল না পড়লে কোন অসুবিধা নেই।
আমাদের শেষ কথাঃ কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়
প্রিয় পাঠকগণ আজকের এই আর্টিকেলে কতটুকু দূরত্বে গেলে কসরের নামাজ পড়তে হয়? কসরের নামাজ কাকে বলে? ভ্রমনে নামাজ পড়ার নিয়ম, কত মাইল দূরে সফর করলে কসর নামাজ পড়তে হয়? এ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি অতিরিক্ত সফল করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য উক্তি বিষয়গুলো জানা জরুরী।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আশা করি উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই সফরে যাওয়ার আগে উঠতে বিষয়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন।২০৭৯১
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url