কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য জানলে অবাক হবেন।

বাল্যকালে জাম ফল সর্ম্পকে যখন আমার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তখন লাল জামগুলোকে পাকা মনে করে খেতে শুরু করে ছিলাম। তাতে যে কষায় ধরনের স্বাদটি পাওয়া যেতো, সেটাকেই আমি মন্দের ভালো জামের স্বাদ হিসাবে মনে করে নিয়েছিলাম অথচ গাছের নীচে কত কালো জাম পড়ে থাকতো সে গুলোকে কাঁচা মনে করে ঘৃনা ও পরিত্যাগ করতাম। পরিশেষে একদা আমার বড় ভাইসহ জাম কুড়াতে এসে তার নিকট আমার ভুল ধারনা ধরা পড়ে যায়। আর তখন থেকেই কালো জামের ভক্ত হয়ে পড়লাম । অনুরুপ ভাবে কালো বা শ্যামা মেয়ের মাঝে বিশেষ  এক ধরনের মাধুর্য্য  লুকিয়ে আছে। ভুক্তভোগী ব্যাতিত কেউ তা উপলদ্ধি করতে স্বক্ষম হবে না। কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য নিয়ে আজকের এই লেখা।

কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য

কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য : স্ত্রী নির্বাচন

যাহোক, বিষয় হলো, প্রায় ৮০ ভাগ ছেলের নিকট যদি তার বিয়ের পাত্রী সমন্ধে মতামত গ্রহণ করা যায় প্রায় সকলেই এক বাক্যে উত্তর দেবে “আরে ফর্সা মেয়ের প্রয়োজন”। প্রায় ৭০ ভাগ ছেলে চায় ফর্সা মেয়ে। আর সেই মেয়ের মধ্যে সৌন্দর্য্য থাক বা না থাক, ফর্সা চাই সুন্দরী হোক বা না হোক। শতকরা ২০ ভাগ ছেলে যাদের মধ্যে সৌন্দর্য্য বোধের একটা অনুভুতি আছে। তারা ফর্সা তো নেবেই সেই সঙ্গে দৈহিক সৌন্দর্য্যরও প্রয়োজন বোধ করে থাকে। অর্থ্যাৎ মেয়ে নির্বাচনী রুচিতে এরা ২য় শ্রেণীর রুচির খদ্দের। আর তৃতীয় শ্র্রেণীর রুচিশীল হলো, ফর্সার পূজারী নয়, সৌন্দর্য্যরে পূজারী, এদের পরিমান প্রায় ১০-১৫ ভাগ।


আরো পড়ুন : ছেলেদের চুলের যত্নঃ চুল পড়া বন্ধ বা পাকা চুল কালো করার প্রাকৃতিক সমাধান


কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য : স্বাদ ও সৌন্দর্য এক জিনিষ নয়

স্বাদ ও সৌন্দর্য এক জিনিষ নয়। কোন জিনিষের স্বাদ ভালো কিন্তু সৌন্দর্য নেই, কোন জিনিষের সৌন্দর্য আছে, কিন্তু স্বাদ নেই, অর্থ্যাৎ স্বাদ ও সৌন্দর্য কখনো এক রুপ হতে পারে না। এরপর শতকরা ১০-১৫ ভাগ ছেলে আছে তারা নেহাৎ ফর্সা পছন্দ করে না।এরা পছন্দ করে শ্যামা নারী। সেই অর্ধপক্ক জামের লোভনীয় লাবন্যের মত। যেসব শ্যামা মেয়ের সৌন্দর্য সকলের মনকে তাদের মোহনীয় মাধুর্য্যে নিমিষেই মাতাল করে তুলতে পারে, এরা সেই আকর্ষনীয় সৌন্দর্য্যর দাবীদার রুচীর দিক থেকে এরা প্রথম শ্রেনীর রুচীর অধিকারী। প্রকৃত পক্ষে এরা খাটি ও মেকীতে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে। বস্তুতঃ এরা কাব্যিক সাহিত্যক ও শিল্প রুচির দিক থেকে সকলের উর্দ্ধে। 

কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য

যাহোক, এবার এই সব ঠুনকো আভাষের কিছুটা আংশিক জবাব দেয়া হোক। কারন যে অধ্যায়টিতে হাত দেয়া হয়েছে তা সবিস্তারে বর্ণনা করলে আলাদা একটি পুস্তক সৃষ্টি হতে পারে। সত্য বলতে ফর্সা মেয়ের প্রায় ৭০ ভাগই সুন্দরী নয়। কোন এক কনে দর্শীকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো, মেয়ে কেমন দেখলে ভাই? সে উত্তর দিয়েছিল- মেয়ে খুব সুন্দরী, অথচ সাড়ম্বরে কনে দেখতে গিয়া দেখা গেলো মেয়ে সত্যিই ফর্সা বটে, কিন্তু কোনই  সৌন্দর্য নেই। এক কথায় যাকে বলে “আতোপ চালের জাউ” রুপসী ও সুন্দরী কিন্তু একই জিনিষ কিন্তু ফর্সা আলাদা ব্যাপার।

ফর্সা মেয়েদের ২০ ভাগের প্রায় রুপ ও সৌন্দর্য উভয়টি পাওয়া যায়, তদুপরি দু একটা বিষয়ের অভাব তাদের মধ্যে  থাকবেই, সেটা কস্মিন কালেও পূরণ হবার নয়। যা হোক শতকরা  ৫ ভাগ মাত্র কালো মানিকের সওদাগর।


আরো পড়ুন : যৌন জীবনকে করুন আরো শান্তিময়। শতভাগ পুরুষত্ব ফিরিয়ে আনতে যাদুকরী এই গাছ সম্পর্কে জানুন

কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য

অধিক প্রসঙ্গ না বাড়িয়ে এবার এই ত্রি-শ্রেণীর নারীদের সম্পর্কে কিছুটা তুলনা মুলক পক্ষপাতহীন, আলোচনায় আসা যাক। যেমন প্রতিটি জিনিষের ভিতর ও বাহির বলে দুটো দিক আছে। একটি ভাল ও অপরটি মন্দ। যেমন সাদা গাভীর দুধ সবচেয়ে নিকৃষ্ট অথচ সাদা গাভীকে দেখতে সকলের চোখে সুখদ মনে হয়। লাল গাভীর দুধ মাধ্যম গুনাবলীর আর কালো গাভীর দুধ সবচেয়ে মিষ্টি স্বাদ ও গুনোগত মানে অতুলনীয়।

তেমনিভাবে ফর্সা মেয়েরা বাহ্যিক দিকটায় ফর্সা বলেই যে তার অঙ্গ প্রতঙ্গ বা অভ্যান্তরীন গুনাবলীর সকল দিক ঠিক থাকবে এটা কিন্তু মনে করা উচিৎ নয়। কারন মহান একক স্র্র্র্র্রষ্টার সকল সৃষ্টি তার কাছে আদরের তিনি কোন এক দিকে কাউকে হেয় করলে অন্য দিকে তার আরেক গুন অধিক জোড়ালো করে রাখবেনই যেমন আউস ধানের চাল দেখতে অন্য চাউলের তুলনায় অসুন্দর, কিন্তু ভাত সুস্বাদু ও শক্তিশালী। এবার চিন্তা করলে প্রমান করতে পারবেন, নিম্ন লিখিত বিষয়গুলোতে কালো, শ্যামা বা ফর্সা  মেয়ের তুলনামূলক পার্থক্য তথা কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য।


১। কালো ও শ্যামা মেয়েদের জীবনি শক্তি প্রবল কিন্তু ফর্সা মেয়েরা দুর্বল। 

২। কালো মেয়ে বা পুরুষের দৈহিক শক্তি অধিক, কিন্তু ফর্সা মেয়ে বা পুরুষ সেই হারে দুর্বল। কালো গরু ও সাদা গরুর বেলাও অনুরুপ বিবেচ্য।

৩। কালো মেয়ের দেহে রক্তের ভাগ অধিক কিন্তু ফর্সা মেয়ের কম।


কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য



৪। যে কোন কারনেই হোক, ফর্সা মেয়েদের সাহসা রক্ত শুন্য ঘটে থাকে কিন্তু কালো মেয়েদের সহসা তা ঘটে না।

৫। কালো মেয়েদের শীতকালে দেহ গরম থাকে ও গরম কালে ঠান্ডা। অপরদিকে ফর্সা মেয়েদের শীতকালে দেহ ঠান্ডা ও গরম কালে গরম (এক্ষেত্রে শতকরা ২০% ভাগ ফর্সা মেয়েদের ব্যাপার ব্যতিক্রম)

৬।  কালো মেয়েরা প্রায়শই শান্ত স্বভাবের হয়ে থকে। কিন্তু ফর্সা মেয়েরা সাধারনত উগ্র স্বভাব বিশিষ্টা (তবে মোটা ও মেদ বহুল হলে ব্যতিক্রম আছে)

৭। কালো বা শ্যামা মেয়েদের হাত, পা অন্যান্য অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো লাবন্য মন্ডিত ও মসৃন হয়ে থাকে, কিন্তু ফর্সা মেয়েদের তুলনামুলক ভাবে হস্তপদাতীর আঙ্গুল গুলো অমসৃন লাবণ্যহীন বেক্ষাপ্পা ধরনের হয়।

৮। শতকরা ৯৯ ভাগ কালো বা শ্যমা মেয়ের চুল মেঘলা বরন ও  দীর্ঘ হতে দেখা যায় কিন্তু ৭০ ভাগ ফর্সা মেয়েরই চুল লালচে বর্ণের ও নাতিদীর্ঘ হয়ে থাকে। (তবে বংশীয় প্রভাবে ব্যতিক্রম হতে পারে)

৯। ব্যবহারের নমনীয়তা কালো মেয়ের শতকরা ৯০ ভাগই নমনীয়া স্বভাবের হয়ে থাকে। কিন্তু ফর্সা মেয়েরা ৮০ ভাগই আত্মাভীমানী উগ্র মেজাজী ও পাষন্ড স্বভাবের অধিকারিনী হতে পারে। 

১০। কালো মেয়েরা অহিংস অপরপক্ষে ফর্সা মেয়েরা ৮০ ভাগের মনই হিংসা ও জীঘাংশায় পুর্ণ।

১১। কালো মেয়ের স্বামীরা যেমন সুখের জীবন যাপন করে থাকে, ফর্সা মেয়ের স্বামীরা ৮০ ভাগ অশান্তির অনলে দগ্ধ হতে থাকে।

কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য


১২। কালো মেয়েদের দেহে লাবন্যের ভাগ বেশী অর্থ্যাৎ ক্যালসিয়াম অধিক বিদ্যামান হেতু শীতকালে এদের হাত পা ফাটতে দেখা যায় না। কিন্তু ফর্সা মেয়েদের দেহে উক্ত দ্রব্য কম থাকায় এদের হাতপা শীতকালে ফেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। (তবে মেদ বহুল ফর্সায় ব্যতিক্রম)

১৩। কালো মেয়েদের মুখে দুগন্ধ থাকে না (কিন্তু একটা আমেজময় সুঘ্রান বলবৎ থাকে) সেই তুলনায় ফর্সা মেয়েতে দৈনতা আছে।

১৪। কালো মেয়েদের অধিকাংশেই স্বীয় সতীত্ব ও সম্ভ্রম বজায় রাখতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেই তুলনায় ফর্সা মেয়েদের দৈন্যতা আছে।

১৫। ফর্সা মেয়েদের মাঝে প্রদর্শন বাতিকতা দোষ অধিক বিদ্যমান। অর্থাৎ মুখ, বুক, পেট, ইত্যাদি অন্য পুরুষ বা মেয়েদের দেখাতে আগ্রহী এটা তাদের সৌন্দর্য্যরে গৌরববোধ। কিন্তু কালো মেয়েরা কালো চামড়ার অধিকারিনী হেতু এই বাতিকতা থাকে না।

১৬। পাতিতালয় গুলোতে ফর্সা মেয়ের আধিক্য বিদ্যমান। তুলনায়মূলক ভাবে কালো মেয়ে সেখানে বিরল।

১৭। কালো মেয়েরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বেশী থাকে কিন্তু ফর্সা মেয়েরা শ্বেত ত্বকের গৌরবে অধিক পরিচ্ছন্নতার প্রয়োজন বোধ করে না।

কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য

১৮। কালো মেয়েরা কালো হেতু সংকুচিতা বা আড়ষ্ট স্বাভাবের হতে দেখা যায়, কিন্তু ফর্সা মেয়েরা দাম্ভিকা হয়ে থাকে।

১৯। কালো মেয়েদের অধিক ধার্মিকা ও আবেদা হতে দেখা যায় ।

২০। কালো মেয়েদের তুলনায় ফর্সা মেয়েদের ঋতুরক্ত অধীক গন্ধ যুক্ত হতে থাকে। আর কালো পুরুষের তুলনায় ফর্সা পুরুষের শুক্র অধিক গন্ধযুক্ত হতে পারে।


আরো পড়ুন : মোটা হওয়ার ভেষজ ঔষধের নাম জেনে নিন, রোগা থেকে মোটা হওয়ার ভেষজ উপায়


২১। কালো বা উভয় শ্রেনীর নারীর বেলায় প্রযোজ্য একটি তথ্য এই যে, প্রায় ৮০% স্বাস্থ্যহীন লম্বা মেয়ের বক্ষ তাড়াতাড়ি নুয়ে পড়ে, কিন্ত উপরোক্ত হারে মোটা ও বেটে মেয়েদের বক্ষ অক্ষুন্ন থাকে (মাত্র ২০% ব্যাতিক্রম আছে)

উপরোক্ত বিষয়গুলো নিছক গবেষনা লব্ধ অর্থে রচিত বিষয় গুলো পক্ষপাতহীন, তদুপরি ত্রুটি বিচ্যুতী থাকলে মানুষ ও মহান প্রভুর নিকট ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

উপসংহার : কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য

প্রিয় পাঠক, কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য আর্টিকেলটি কবি সুধী মোজাম্মেল হকের ‘নারী চিত্র’ প্রবন্ধ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্মানীয় কবি সাহেবের “নারী চিত্র” প্রবন্ধটি ধারাবাহিকভাবে  এই সাইটের সাহিত্য মেনুতে প্রকাশ করা হয়। এরকম আরো তথ্য বহুল পোস্ট পেতে আমাদের সাহিত্য পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url