নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি? ১০ টি পার্থক্য জানলে অবাক হবেন

নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি? এ নিয়ে আমাদের জনার বা প্রশ্নের শেষ নেই। নারী ও পুরুষ পার্থক্য  সম্পর্কিত এই তর্ক বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এই পোস্টে একমন একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। যা পুরোটা পড়লে আপনি নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি সম্পর্কে জানতে পারবেন। তবে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি

নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি

বাগানসহ সকল ফুলের মূল্যায়ন বা অস্থিত্য একটি ফ‚লের মত, অর্থ্যাৎ বিশ্বের সকল নারী যেন একজন নারী। তারা একই মানসিকতায় একই উদ্দেশ্যে বা স্বার্থে পুরুষদের প্রয়োজনে নিবেদিত প্রাণ। এক ফুলের যেমন আরেক ফুলের প্রতি আসক্তি আগ্রহ বা সম্ভ্রম বোধ থাকে না। (শুধু সৌন্দর্য্যরে ইর্ষা ব্যতিত) প্রকৃত অর্থে নারীরাও তাই। তাই তাদের একে অপরের প্রতি রূপের আসক্তি বা সম্ভ্রম বোধ থাকে না। একে অপরে প্রতি সামান্যতম লজ্জা বোধও নেই।


আরো পড়ুন : কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য জানলে অবাক হবেন।


যেমন কণে সাজানোর প্রতি সকল মেয়ের আগ্রহ ও ব্যগ্রতার কারণ কী? এর কারণ হচ্ছে কনে সাজিয়ে কোন পুরুষকে উপহার দিতে পারলে যেন তাদের আবেদন নিবেদন স্বার্থক। তারা পূর্ণ রুপে কৃতার্থ। কিন্তু মেয়েরদের কনে সাজানোর আগ্রহ দৃষ্টিতে মনে হয় যে, তারা বোধ হয় কনে সাজিয়ে তার প্রতি আসক্তি বোধ করবে। কিন্তু মূলত তা নয়, তাদের প্রকৃত ধারা এই যে, সাজানো এই কনের দেহ ভোগে যেন ওর স্বামী খুবই আনন্দিত হয়।

নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি

অতএব বোঝা যাচ্ছে যে, তাদের সকল আবেদন নিবেদন সবই পুুরুষ তুষ্টি কেন্দ্রিক। আর এজন্যেই বোধ করি পুরুষদের মতো ব্যক্তিত্ব আর গভীর লজ্জাবোধ বা ব্যক্তিত্ব যথেচ্ছা ভোগ্য নারীদের প্রদান করা হয় নি। নীচের প্রদত্ত উপমাগুলোতে বুঝতে পারবেন পুরুষদের তুলনায় নারীর প্রকৃতিগত ভাবে লজ্জাহীনতার প্রকৃষ্ট চিত্র তথা নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি সে সম্পর্কে।

১) বকরি, গাভী, ঘোটকী, এমন সব প্রাণীর স্ত্রী জননেন্দ্রিয় খোলা অবস্থায় থাকে এবং এই সব পুরুষ জাতীয় প্রাণীদের পেনিস চামড়ার খোলে আবদ্ধ থাকে। প্রাকৃতিক প্রয়োজন ছাড়া তাদের পেনিস সর্বক্ষনের জন্যে কারো নজরে পড়ে না। নারীদের তুলনায় পুরুষ জাতি যে অধিক লজ্জাশীল প্রকৃতিগতভাবে এসব তারই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।


আরো পড়ুন : যৌন জীবনকে করুন আরো শান্তিময়। শতভাগ পুরুষত্ব ফিরিয়ে আনতে যাদুকরী এই গাছ সম্পর্কে জানুন

২) জনৈকা ধাত্রী মহিলার কাছে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে যে, কন্যা শিশু প্রসবের সময় উর্ধমূখী অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়। পরন্ত পুরুষ সন্তান নাকি নিম্নমূখী অবস্থায় ভূমিষ্ট হয়ে থাকে। যাতে করে মাতৃ ইজ্জত তার চোখে না পড়ে। এটাও পূরুষ জাতির সম্ভ্রমশীলতার আরেকটি প্রমাণ।

৩) নির্মাঙ্গের সম্পূর্ণ বস্ত্র উন্মোচন করে মেয়েদের কে জলক্ষরন করতে হয়। কিন্তু পুরুষদের সম্পুর্ণ বস্ত্র না খুললেও চলে।


নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি


৪) নারী পুরুষ মিলনের সময়, পুরুষরা নারী ইজ্জত ইচ্ছা করলে অবলোকন করতে পারে (অবলোকন না করা উত্তম) কিন্তু নারীরা ইচ্ছে করেলেও পুরুষরা তাদের ইজ্জত নারীকে না দেখাতে চাইলে নারীরা তা কোনভাবেই দেখতে সক্ষম হবে না। (না দেখাই উত্তম দৃষ্টি শক্তি সংযত থাকে)।

৫) পানিতে ডুবে মারা গেলে সচরাচর মেয়েরা উপুড় মুখী অবস্থায় ভেসে থাকে, আর পুরুষ নিম্নমুখী অবস্থায়।

৬) গোসলের পর কাপড় বদলাতেও মেয়েদের সব কাপড় খুলে ফেলতে হয় কিন্তু পুরুষদের তা করলেও চলে।

৭) গ্রামের মহিলাদের বাড়িতে প্রসবের সময় গাঁয়ের অনেক মহিলা বা ছেলে-মেয়ে প্রসব গৃহে ভীড় করে থাকে। তাতে অনেক সময় প্রসূতির যৌনঙ্গ অনেকের দৃষ্টি গোচর হয়ে থাকে।


নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি


৮) প্রসব কালে জরায়ু মুখ ছিন্ন হলে তা সেলাইয়ের লক্ষ্যে ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হয়।

৯) বর্তমান যুগে জন্ম নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে স্ত্রী অঙ্গে কিট লাগানোর হয়ে থাকে। এটাও সম্ভ্রমহীনতার পরিচায়ক।

১০) অর্ধেক লজ্জা না হলে মহিলারা পতিতালয়ে প্রবর্তণ করত না। প্রয়োজনে বাঁচার লক্ষ্যে তরা ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করতে পারতো।


আরো পড়ুন : দুজন মেয়ের পিক তোলার স্টাইল সম্পর্কে জেনে নিন


উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আমরা মহিলাদের পুরুষদের ত‚লনায় ব্যক্তিত্ব ও সম্ভ্রমহীনতার যথেষ্ট অভাব অনুভব করছি। তবে একটি বিষয়ে নারীরা অত্যন্ত সম্ভ্রশীলা ও লাজুক। আর তা হলো অনেক ইতর শ্রেণীর পুরুষ গোপণ স্থান থেকে হোক বা যেকোন সুবিধাজনক স্থান থেকে হোক লুকানো দৃষ্টিতে নারীর আব্রু অবলোকন করে থাকেন। নারীরা কিন্তু তা নয় তারা ঐ ধরণের সুযোগ লাভ করলেও পুরুষের আব্রু লুকিয়ে অবলোকন করার পক্ষপাতি নয়। এতে তারা অত্যন্ত লজ্জা বোধ করে থাকে। পুরুষ যে পিতৃ জাতি তথা সম্মনীয় এই সন্মানটুকু তারা তাদের মনের গহীন কন্দরে সুপ্ত ভাবে রাখার কারনে হয়তো তারা পুরুষ জাতিকে এধরণের সম্মানটুকু দিয়ে থাকে। এছাড়াও তারা এই কদর্য্য অভ্যাসের বশবতী না হওয়ার দুইটি কারণ বিদ্যমান। আর তা হলো পুরুষরা ভোগী আর তারা ভোগ্য।


নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি


প্রিয় পাঠক, উপরোক্ত আলোচনার আলোকে নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি? বা পুরুষ ও নারীর লজ্জার পার্থক্যে সাম্যক উপলব্ধি করতে পেরেছেন বলে আমি মনে করি।

উপসংহার : নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি? ১০ টি পার্থক্য জানলে অবাক হবেন

নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি? ১০ টি পার্থক্য জানলে অবাক হবেন বিষয়ের এই পোস্টটি কেমন লাগলো জানিয়ে কমেন্ট করবেন, ভাল ভাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করবেন। পোস্টটি কবি সুধী মোজাম্মেল হক রচিত ‍‍নারী চিত্র প্রবন্ধ থেকে নেয়া হয়েছে। উক্ত প্রবন্ধটি এই সাইটের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত পোস্ট করা হয়। এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট জানতে আমাদের সাহিত্য পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url