পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান
বর্তমান সময়ে গ্যাসের সমস্যা আমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে। সেই সাথে পেটের নানাবিধ সমস্যা প্রায় সবারই লেগে থাকে। অফিসে, বন্ধুদের আড্ডায়, মহল্লার ভাই বোনদের সাথে ভাজা-পোড়া বা মুখেরোচক খাবার খেতে হয় নানাভাবে। আর সেগুলো খেলেই পেটে গ্যাস সৃষ্টি হয়, আর গ্যাস হলেই আমরা খুঁজতে থাকি গ্যাসের ঔষধ, যেগুলো পার্শপ্রতিক্রিয়ায় ভরপুর। তো এই সাধারণ সমস্যায় প্রাকৃতিক সমাধান পেলে কেমন হয়। সম্পূর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ নিয়ে আলোচনা করা হবে এই পোস্টে।
পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান
পেটের যাবতীয় সমস্যা ও গ্যাসের সমস্যা চিরতরে মুক্তির উপায় আজ আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। মনোযোগ দিয়ে পূরো পোস্টটি পড়ে জেনে নিন কিভাবে পেটের সমস্যাসহ গ্যাসের সমস্যা চিরতরে নির্মুল করবেন। একটি মাত্র উপাদান দিয়েই আপনি গ্যাসের ঔষধ কে না বলে পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান করতে পারেন। প্রাকৃতিক সেই উপাদানটি নাম জৈন, আমরা কেউ কেউ এটাকে জোয়ান বলে থাকি। এটি আমাদের দেশের সর্বত্র ছোট বা বড় বাজারে ভেষজ ঔষধের দোকানগুলোতে পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন : মাইগ্রেনের ব্যাথা কমানোর উপায় কী
পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ জৈন এর পরিচয় ও উপকারিতা
আমাদের দেশে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় দীর্ঘদীন ধরে জৈনের ব্যবহার হয়ে আসছে। জৈনের বহুবিধ উপকারিতা রয়েছে। জৈনকে ঔষধির মর্যাদা দিয়েছে এর নানাবিধ উপকারিতা। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে জৈন অতীব উপকারী। প্রসূতি মহিলাদের নিয়মিত জৈন সেবন করালে তাদের পাচনতন্ত্র সুস্থ ও সবল হয়ে ওঠে। স্বাভাবিক জ্বরেও জৈন জ্বরনাশক হিসেবে কাজ করে। জৈন মায়ের দুধ বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর স্তনে দুধ থাকে না বা কম থাকে তাদের স্তনের দুধ বাড়াতে জৈন অত্যন্ত ফলপ্রদ । এছাড়া জৈন হজমকারক, অরুচিনাশক, রুচিবর্দ্ধক । জৈন শুক্রশূল, বায়ু, কফ, পেটের গোলমাল, কৃমি ও যোনি বিকার নাশ করতে সক্ষম। আর পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ বা পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে এটি অত্যান্ত আশ্চার্যরকম কাজ করে।
পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে জৈন এর ব্যবহার
অনেকেরই খাবার পর পেটে গ্যাস হয়, পেট গুড়গুড় করে, পেট ভার-ভার লাগে ও চোঁকা ঢেঁকুর ওঠে। এমতাবস্থায় তিন গ্রাম জৈন এবং দুই গ্রাম খাওয়ার সোডা মুখে দিয়ে আধা গ্লাস হালকা গরম পানি পান করলে শতভাগ উপকার পাওয়া যাবে। এই জৈন ও সোডা দুপুরে ও রাতের খাবারের দশ মিনিট পর সেবন করতে হবে । পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে এটি একটি অব্যার্থ ভেষজ ঔষধ। এতে গ্যাসজনিত সমস্ত অসুস্থতা দ্রুত প্রশমিত হয়। এরকম সমস্যায় গ্যাসের ট্যাবলেট না খেয়ে জৈন ও সোডা ট্রাই করেন আর যাদুকরী উপকার পান।
অথবা পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে ৪ গ্রাম জৈন চূর্ণ এবং এক গ্রাম বিট লবণ পানির মধ্যে দিয়ে সেবন করলে পেটের গ্যাস ভালো হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক হলে কি গর্ভধারণে সমস্যা হয়
পেট ব্যথা দুর করতে জৈন এর ব্যবহার
পেট ব্যথা হলে গুড়ের সঙ্গে জৈন মিশিয়ে সেবন করে পানি পান করলে কিছুক্ষনের মধ্যে পেটের ব্যথা প্রশমিত হয়ে যাবে। এছাড়া জৈন, বিটলবণ এবং হিং একসঙ্গে চূর্ণ করে ঘরে রাখে দিন এবং পরে পেট ব্যথার সময় এক গ্রাম চূর্ণ মুখে দিয়ে গরম পানি পান করলে ব্যথা কমে যাবে। কিছুদিন দিনে দু'বার এভাবে গরম পানির সঙ্গে সেই চূর্ণ সেবন করলে পেটের কোন সমস্যাই আর থাকবে না। এটি পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ, পরীক্ষিত ও গ্যারান্টি যুক্ত ভেষজ ঔষধ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে জৈন এর ব্যবহার
সম্পুর্ণ পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ বা পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে জৈন একটি অত্যান্ত কার্যকরী ঔষধ। জৈনের পাচন বা ক্কাথ নিয়মিত সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না । এতে অন্ত্রে পচনও হয় না।
আরো পড়ুন : যৌন জীবনকে করুন আরো শান্তিময়। শতভাগ পুরুষত্ব ফিরিয়ে আনতে যাদুকরী এই গাছ সম্পর্কে জানুন
উপসংহার : পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ। পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান
প্রিয় পাঠক, পার্শপ্রতিক্রিয়া মুক্ত গ্যাসের ঔষধ বা পেটে গ্যাস হলে প্রাকৃতিক সমাধান বিষয়ক পোস্টটি পড়ে জৈন এর প্রাকৃতিক গুনাগুন সম্পর্কে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন। জৈন প্রাচীন কাল থেকে ঔষধী মসলা হিসাবে আমাদের দেশে বহুল পরিচিত। পেটের যেকোন সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যায় মরনঘাতি সাধারণ ঔষধ না খেয়ে বর্ণিত ভেষজ ঔষধগুলো নির্দিধায় ব্যবহার করতে পারেন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে সেয়ার করুন আর কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url