রক্তচাপ রেড়ে গেলে নয়নতারা গাছ হতে পারে আপনার জন্য মহাঔষধ

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া এখন আর অস্বাভাবিক কোন রোগ নয়। এটি এখন প্রত্যেক পরিবারের একটি কমন রোগ। আর এই রোগটির ফলে দেখা দেয় দেহের বিভিন্ন সমস্যা। আমাদের হাতের কাছে পাওয়া একটি গাছকে ব্যবহার করে এই রোগটির কার্যকরী ঔষধ বানিয়ে ফেলা যায়।গাছটি আমাদের অতি পরিচিত নয়ন তারা ফুল গাছ। এই পোস্টে নয়নতারা ফুল গাছের পরিচয় জন্মস্থান ও প্রাপ্তিস্থান এবং এর দ্বারা তৈরি প্রাকৃতিক ওষুধের ব্যবহার বিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

পোস্ট সুচিপত্র

বিভিন্ন ভাষায় নয়নতারার ডাক নামসমূহ

বাংলা : নয়নতারা

হিন্দী : সাদাবাহার

ইংরেজী : Catharanthus

বৈজ্ঞানিক নাম : Vinca nosea


আরো পড়ুন : গোল মরিচ খাওয়ার নিয়ম, গোল মরিচের উপকারিতা ও যে সব রোগের মহাঔষদ


গাছের পরিচয়, জন্মস্থান ও প্রাপ্তিস্থান

সোজা কাণ্ডযুক্ত এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। গাছটি লম্বায় খুব একটা বড় হয় না। সাধারণভাবে দেড় থেকে দুই ফুটের মতো লম্বা হয় । এর পাতা  কান্ডের দুই দিকে  দুইটি করে জন্মায়। পাতা লম্বা ধরনের এবং আগার দিকটা ভোঁতা । পাতার রং গাঢ় সবুজ। হের শিরা গুলো অতি স্পষ্ট সহজেই চোখে পড়ে। প্রত্যেক ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। পাপড়ির রঙ  হালকা গোলাপী। এই গাছে বারো মাস ফুল ফোটে ।





নয়নতারা গাছের আদি জন্মস্থান মাদাগাস্কার। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় সমস্ত এলাকাতেই কম-বেশি এ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। রেললাইনের ধারে, ছায়াযুক্ত স্থানে বালি রাখলে তার মধ্যে এরা জন্মায় এবং পাথর যুক্ত মাটিতেও এরা বেঁচে থাকতে পারে। যেখানেই গজাক না  কেন, কোনো রকম যত্ন করার প্রয়োজন হয় না। এর বিশেষ গুণ হলো, মাটির ক্ষয় রোধ করা। সাম্প্রতি ভূমিক্ষয় রোধ করতে ঢালু জমিতে নয়ন তারা চাষ করা হচ্ছে প্রচুর।



ঔষধি ছোট্ট বৃক্ষ হিসেবে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। গাছের শুকনো ডালপালা, শেকড় প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার মেট্রিক টন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চালান হচ্ছে। আর তাই বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক হারে এর চাষ শুরু হয়েছে। পাতা খেতে তিতা বলে গরু-ছাগল এতে মুখ দেয় না করে খরচও খুব কম পড়ে। গাছের বয়স মাত্র ছয় মাস হলেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।




রক্তের চাপ বেড়ে গেলে নয়নতারার ব্যবহার

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নয়ন তারা গাছের মূলের তাজা রস ৫ মিলি করে খেতে হবে। এভাবে তিন থেকে চার দিন খেলেই রক্তের চাপ কমে যাবে ইনশাল্লাহ। তবে এই ঔষধ ৩-৪ দিনের বেশি খাওয়া ঠিক  হবে না। তিন চারদিন পরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তের চাপ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। এটি খুবই কার্যকরী ও পরিক্ষিত ভেষজ ঔষধ। 


উপসংহার :  রক্তচাপ রেড়ে গেলে নয়নতারা গাছ হতে পারে আপনার জন্য মহাঔষধ

প্রিয় পাঠক, রক্তচাপ রেড়ে গেলে নয়নতারা গাছ হতে পারে আপনার জন্য মহাঔষধ বিষয়ক পোস্টটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি নয়ন তারা গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ফেলেছেন।বিভিন্ন ভাষায় এই গাছের নাম গাছের প্রাপ্তিস্থান জন্মস্থান ও এর ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url