নারী পুরুষ সমতায় নারীদের ব্যক্তিত্বহীনতা
নারীদের ব্যক্তিত্ব কতটুকু বা কি রকম? নারী-পুরুষ সমতায় তাদের ব্যক্তিত্ব কিরকম প্রভাব ফেলে? নারী পুরুষ সমতায় নারীদের ব্যক্তিত্বহীনতা বিষয়ক এই পোস্টে তার বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। পোস্টটি পুরো পড়ুন, আর জেনে নিন নারী-পুরুষ সমতায় নারীদের ব্যক্তিত্বহীনতা কিরকম প্রভাব ফেলছে।
পোস্ট সুচিপত্রনারীরা স্রষ্টার কৌশলগত একটি সৃষ্টি
কোন ব্যক্তিশীল সম্প্রদায় কখনো অন্যের প্রশংসার বা কৃপা লাভের জন্য লালায়িত থাকতে পারেন না। তারা আপন চরিত মহিমায় সমুজ্জল। আলোক লতা অন্য গাছের সাহায্যে ব্যতিত বিকাশ লাভ করতে পারে না। এটা কিন্তু আলোক লতার দোষ বা দৈন্যতা নয়। বরং স্রষ্টার কৌশলগত একটি সৃষ্টি। যার ফলে আলোক লতাকে আশ্রয় দাতা গাছ প্রত্যাখ্যান করে না ও তার উপর আশ্রয় গ্রহন অস্বীকার ও করে না। বরং নিজের জীবনের একটি সম্পুরক বিষয় বলে মনে করে থাকে। আলোক লতা দ্বারা তার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। তাকে সাথে নিয়ে সে আরো অধিক বেড়ে উঠবে ও বিকাশের চেষ্টা করে থাকে।
আরো পড়ুন : নারীরা এতো অবাধ্য কেন? আসল রহস্য জেনে নিন
নারীদের সকল কর্মকান্ড উত্থান ও বিকাশ সব পুরুষ জাতিকে কেন্দ্র করে
প্রিয় পাঠক, নারীরাও এক প্রকার আলোক লতা সাদৃশ্য প্রাণী। আলোক লতা গাছের উপর নির্ভরশীল, কিন্তু তাই বলে গাছ আলোক লতার প্রতি নির্ভরশীল হলে পরিনামে একদা সে মুল শিকড় সহ উপড়ে পড়ে যাবে। অনুরুপ নারীরা পুরুষের উপর নির্ভরশীল থাকবে এটাই স্বাভাবিক, তথা সামঞ্জস্য পুর্ন কাজ। কেননা নারীদের সকল কর্মকান্ড উত্থান ও বিকাশ সব পুরুষ জাতিকে কেন্দ্র করে। তাই পুরুষের উচিৎ তাদের সকল আবেদন নিবেদনকে মনে প্রাণে গ্রহন করে তাদেরকে ভালাবাসা দান করতঃ সামগ্রিক মুল্যায়ন করা। কোন রাজ দরবারে রাজা যদি বন্দনাকারিনী নর্তকীদের পুরস্কার না দিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে তবে সেই রাজারও অকৃতজ্ঞতার অপরাধে কঠিন বিচার হওয়া উচিৎ।
নারীরা পুরুষের নিকট থেকে সৌন্দর্যের প্রসংশা পাবার চেষ্টায় থাকে
স্বাভাবিক নারীরা সর্বদাই পুরুষের মনকর্ষন বা তাদের নিকট থেকে স্বীয় সেবা ও সৌন্দর্যের প্রসংশা পাবার আশায় উগ্র অলংকারের রুপচ্ছটাসহ Cosmetics জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করে থাকে। এটার একমাত্র কারণ পুরুষদের নিকট থেকে ভালবাসা, প্রসংশা, অনুগ্রহ বা অনুকম্পা লাভ করা যায়। স্নো, পাউডার, আল্তা, Lipsticks, অলংকার, শাড়ী, ব্লাউজ, বা অন্তর্বাস এই সব সেজে গুঁজে তারা স্বীয় ব্যক্তিত্বকে জলাঞ্জলী দিয়ে পুরুষের নিকট মনোনয়ন পাবার প্রত্যাশয় সর্বদা বেষ্ঠিত থাকে। এর মুল কারন পুরুষরা নারীকে ভালবাসবে স্নেহ করবে তবেই তাদের নারী জীবনের তথা নারীত্ব প্রকৃত মর্যাদা লাভ করবে। তাই প্রকৃত ব্যক্তিত্ব পুরুষ জাতির জন্যই নির্ধারিত।
আরো পড়ুন : নারীদের চেয়ে পুরুষদের লজ্জা বেশি। কেন? প্রমানসহ জেনে নিন
যে নারীকে পুরুষ ভালবাসলো, তার মূল্য বাড়লো, আর যে নারীকে পুরুষ ভাল না বেসে প্রত্যাখান করলো পক্ষান্তরে তার নারীত্ব পরাজিত হলো। অতএব অতি সহজেই স্বীকার করে নিতে হচ্ছে যে, নারীকে পুরুষের উপকার সুলভ কর্মকান্ডের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। পুরুষের ভালবাসা পাবার ক্ষেত্রে তারা অবিচ্ছেদ্য। তাদের সেবাদানকে প্রত্যাখান না করে, বিনিময়ে তাদেরকে আদর স্নেহ, ভালবাসা, আশা আকাঙ্খা অধিকারের মুল্যায়ন করাই হচ্ছে প্রকৃত নারীত্তে¡র মুল্যায়ন। অধিকারের অর্থ এই নয় যে, ব্যক্তিত্ববান পুরুষ জাতি গুরু দায়িত্ব পদ হতে সরে গিয়ে ব্যক্তিত্বহীন আলতা-স্নো ব্যবহারকারিনী নারী জাতির হাতে ছেড়ে দিয়ে সম-অধিকার প্রদান করবে। ত্রিশ মন মাল বোঝাই গাড়ীতে শক্তিশালী মহিষকে অপসারন করে দুর্বল অক্ষম বকনাকে সেই গাড়ী টানার জন্যে জুড়ে দেয়া এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরন।
নারীকে পুরুষের তুলানায় নুন্যতম করে সৃষ্টি করা হয়েছে
নারীত্বের মূল্যায়ন প্রদান কল্পে মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে ঘোষনা করা হয়েছে যে, “নারী জাতি তোমাদের পোষাক স্বরুপ, আর তোমরাও (পুরুষরা) তাদের পোষাক স্বরুপ”।
অর্থ্যাৎ পোষাক যেরুপ তোমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তোমরাও তাদের জীবনের জন্য অবিচ্ছেদ্য। প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য দ্রব্যই ভোগ্য পদার্থ। আর ভোগ্যদ্রব্য অবশ্যই রুচিকর ও প্রিয় রুপে মেনে নেয়া প্রয়োজন। অপ্রিয় দ্রব্য ব্যবহারে যেরূপ পেটের পীড়া জন্মে। নারী জাতিকে সঠিক মূল্যায়ন না করলেও মানব সমাজ পীড়াগ্রস্থ হতে বাধ্য। ভোগীর তুলনায় ভোগ্যদ্রব্য নুন্যতম থাকা প্রয়োজন জন্য নারীকেও পুরুষের তুলানায় নুন্যতম করে সৃষ্টি করা হয়েছে। উপাদান গত দিক থেকে নারীরা অবশ্যই পুরুষের তুলনায় নুন্যতম। অতএব তারা ভোগ্য পদার্থ, আর ভোগ্য পদার্থ ভোগীর চেয়ে নমনীয় থাকা স্বাভাবিক। যেমন, ভোগ্য দ্রব্য হচ্ছে মাছ, মাংস, ফুল, ফল ইত্যাদি।
বিবাহে পুরুষের মুল্য কমে, নারীর মুল্য বাড়ে
তেমনি বিবাহ প্রথাতেও পুরুষ সক্রিয় নারী নিষ্ক্রিয়। পুরুষ স্বকীয় শক্তিতে তার ভোগ্য সমগ্রী নারীর জীবনযাত্রার ভার গ্রহন করে থাকে। বিবাহ দ্বারা প্রকৃত অর্থে নারীকে মুল্যায়ন করা হয়। আর এ জন্যই বিবাহে পুরুষের মুল্য কমে, নারীর মুল্য বাড়ে। কারন বিবাহে স্ত্রীকে ভালবেসে বা মর্যাদা দিয়ে নারীত্বের মুল্যায়ন করা হয়।
আরো পড়ুন : নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি হবার কারণ কি?
এই যে নর্তকী প্রথা, এটাও কি নারীদের সস্ত্রমহীনতার পরিচায়ক নয়? পুরুষরা নৃত্য ভোগ করবে আর তাদের মনোতুষ্টির জন্য নারী নর্তকী বা নাচের পোষাক পরে অবর্তীন হয় এবং স্বীয় ব্যক্তিত্বকে জলাঞ্জলী দিয়ে নানান ভঙ্গিমায় যতদুর পারা যায় পুরুষ দর্শকদের বাহবা বা মনোরঞ্জন লাভ করে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় যে তাদের স্বীয় সম্মান বা ব্যাক্তিত্বের মুল্য কমতে পারে তাকে যেন তাদের কোনই ক্ষতি-বৃদ্ধির মানষিকতা নেই।
নারী পুরুষ সমতায় নারীদের ব্যক্তিত্বহীনতা
যাহোক পুরুষ কর্তৃক মূল্যায়ন ব্যতিত নারীর আলাদা প্রক্রিয়ার কোন মুল্যায়ন নেই। তারা আলাদা ব্যক্তিত্বের দাবীদার হয়ে তাদের অভিভাবক পুরুষ সমাজকে মুল্যায়ন করে দুরে অবস্থান করলেও সেই নারীর নারীত্বে কোনই মুল্যায়ন থাকবে না।
মেয়েদের ব্যক্তিত্ব না থাকলে অনেক সময় তারা সামগ্রি জাতীয় দ্রব্যের পর্যায়ে এসে পড়ে। যেমন কোন মেলা বা হাট থেকে ভাল গরু বা ঘোড়া কিনে আনলে গ্রামের সকলেই তা দেখতে আসে। এ কারনে যে, কার ঘোড়া বা গরুটা ভাল তার তুলনা করতে। তেমনি গ্রামে ক’জন নতুন বউয়ের আমদানী ঘটলে দলে দলে মেয়েরা তাদের দেখতে আসে কারন কোন বউটি বেশী ভাল তা মুল্যায়ন করতে। নারীরা ব্যক্তিত্বমন্ডিত পদার্থ হলে এমনটি কেউ করত না। অপরপক্ষে কিন্তু নতুন জামাইকে তেমন একটা কেউ দেখতে আসে না। কারন, পুরুষ ব্যক্তিত্বপ্রবন রাজ জাতি।
উপরোক্ত আলোচনার আলোকে অনুভব করতে পারলেনন যে, ব্যক্তিত্বগত দিক থেকে পুরুষ ও মহিলার মধ্যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। তাই তাদেরকে একই ব্যক্তিত্বে ওজন করা উচিৎ নয়।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url