নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন?
নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন?
মানব সৃষ্টির শুরুর কথা : একক মহান স্রষ্ঠা পৃথিবীর সকল জীবের উপর স্বীয় মনোনীত একটি সম্মানীয় জাতির প্রভূত্ব বিকাশের লক্ষে স্বর্গরাজ্যে সর্বপ্রথম আদি মানব হজরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন। তিনি সকল জীবের চেয়ে অধিক সম্মানী ও প্রিয় বলে (আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞানের দিক দিয়ে) আল্লাহর নিকট সম্মানী বিবেচিত হন। তিনি বা তাঁর বংশধরগন হবেন এই পৃথিবীর নেতা বা অধিকর্তা একটি প্রবাদে আছে “প্রত্যেক জিনিষেই তার মুলের দিকে ধাবিত হয়” তাই আদমের বংশধরগণের দেহ এই মাটিতেই ক্ষয়প্রাপ্ত হবে কারন মাটি দ্বারাই তার দেহ সৃষ্টি করা হয়। ধারনা করা হয় মক্কা, মদিনা, ভারত ও ইরাকের মাটি দ্বারা তাঁর দেহ কে সৃষ্টি করা হয়েছিলো বলেই সেইসব দেশের স্থানীয় প্রভাব মানব চরিত্রে বিদ্যমান। পরন্ত আদম (আঃ) স্বর্গরাজ্যে সৃষ্টি হয়ে, স্বর্গ রাজ্যেই বিচরণ করতে থাকেন।
আরো পড়ুন : কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য জানলে অবাক হবেন।
নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন?
আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) স্বর্গরাজ্যে অবস্থান করা সত্তেও কেমন যেন একরকম নিঃসঙ্গতা অনুভব করতে থাকেন। এই নিঃসঙ্গতার পিছনে প্রচ্ছন্নভাবে লুকিয়ে ছিলো হয়তো বা তার দৈহিক চাহিদা। কারণ যার ভিতরে যত গুনাবলী বিদ্যমান, তিনি ততবেশী উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি। তাই ফেরেস্তা স¤প্রদায়কে যে সব গুনাবলী দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে তার চেয়েও ছয়টি অধিক গুন আদম (আঃ) শরীরে প্রবিষ্ঠ করানো হলো, এই ছয়টি গুনের মধ্যে কাম বা যৌন চাহিদা একটি অন্যতম শক্তিশালী গুন।
যাইহোক, কাম এর বহিঃ প্রকাশ ঘটলো, আদম (আঃ) এর নিঃসঙ্গ জীবনের অস্বস্থিময় সময় ক্ষেপনের মাধ্যমে। তিনি যেন স্বীয় জীবনের সুস্পরক হিসাবে কাউকে কামনা করছেন। অথচ, তিনি অনুভব করতে পারছেন না, তিনি কাকে চান বা কি তার প্রয়োজন। অতএব সর্বদর্শী মহান স্রষ্ঠা অনুভব করতে পারলেন প্রথম মানুষ হযরত আদমের (আঃ) বিমর্ষতার নির্ভূল কারন। অনন্তর মহান স্রষ্টা একদা আদমের (আঃ) ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর বাম পাঞ্জরাস্থি দ্বারা সৃষ্টি করে ফেল্লেন অপূর্ব লাবন্যময়ী একটি নারী মুর্তি। যার নাম রাখা হলে “হাওয়া” বা কামিনী হিসাবে।
স্রষ্টার কাছে এতো মাটি থাকতে পুুরুষের বুকের হাড় দিয়ে কেন সৃষ্টি হলো নারী?
এখন আসল কথা হলো, স্রষ্ঠার নিকট কি মৃত্তিকার অভাব ছিলো? অথচ তিনি কেন আলাদা মাটি দ্বারা হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি না করে আদমের (আঃ) পাঞ্জরাস্থি দ্বারা হাওয়াকে সৃষ্টি করলেন? এর কারন বোধ করি এটাই যে, নারীকে পুরুষের নিকট ঋণী রাখা, মা-কে বাপের নিকট সামান্য হীনতায় পর্য্যবসিত করা, পুরুষ কে রাজা বা অধিকর্তা হিসাবে নারীর নিকট সমুন্নত রাখা, পুরুষ কে রাজা ও নারীকে প্রজা হিসাবে চিহ্নিত করা।
পুরুষকে যেহেতু নেতা হিসাবে নির্বাচন করা হলো তাই, পুরুষ নারী অপেক্ষা জ্ঞান শক্তি, ও অন্যান্য যোগ্যতায় অধিক বলে বিবেচিত হলো, কারণ উপরোক্ত গুনাবলীগুলোর মধ্যে নারীকে অর্ধেক গুন সম্পন্ন না করলে তারা পুরুষের আজ্ঞাবর্তীনি হিসাবে কালাতিপাত করতে সমর্থ হতো না।
আরো পড়ুন : নারী নাকি পুরুষ কার লজ্জা বেশি? ১০ টি পার্থক্য জানলে অবাক হবেন
নারীরা অবাধ্য হবার কারণ কি?
পাঞ্জরাস্থি বাঁকা। তাই নারী চরিত্রের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বক্রতাজনিত অবাধ্যতা গুন বিদ্যমান। এটা তাদের বক্র হাড়েরই চরিত নমুনার বহিঃ প্রকাশ। নারী চরিত্রে তাই বক্রতা গুন থাকবেই আর সে জন্যেই সেটা উল্লেখযোগ্য বা ধর্তব্য নয়। তাই সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মহানবী মুহাম্মদ (সা.) তাদের ৯৯টি ভূল বা অপরাধকে ক্ষমার দৃষ্টিতে বিবেচনা করার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তবে তাদের ভুলগুলো একে বারেই না ধরলে সেই বাঁকা হাড়ে তৈরী নারী চরিত্র অধিক বাঁকা হতে থাকবে।
আমরা সকলেই নারী সমাজের কাছে ঋণি কেন?
এক্ষনে নারীদেরকে “মা, জাতি হিসাবে বিপুল সম্মান ও সমীহ দান করা হয়ে থাকে, কারন নারীদের গর্ভেই সকলেই জন্ম গ্রহণ করে থাকে। তাই অধঃপাতিত নারী সমাজকে (ইসলাম পূর্বযুগে) সম্মানীয়া হিসাবে সকলের সমীহের পাত্রী হিসাবে উর্ধে রাখার জন্য মহান আল্লাহ ও তদীয় রাসূল (সা.) স্বীয় বানীতে নারীদের সম্মান করতে বলেছেন। এতএব, সকল মানুষের মা, নারী। অর্থ্যাৎ সকলেই নারীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করে নারী সমাজের নিকট ঋণী সেজেছেন।
পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন ?
কিন্তু তদুপরি পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি হবার কারণ কি? এর প্রকৃষ্ঠ করন হলো- নারী বা হাওয়া (আঃ), আদমের (আঃ) গর্ভ বা পাঞ্জরাস্থি থেকে সৃষ্ঠ হয়ে পুরুষ জাতির নিকট ঋণী হয়ে আছেন। নারীকে এই ঋনী রাখার কারণ হলো, পুরুষ জাতিকে সম্মান তথা নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত রাখা। অন্যথায় এই ঋণ না থাকলে পুরুষের সকল শ্রেষ্ঠত্ব ধুলিস্মাৎ হয়ে যেতো, অর্থ্যাৎ পুরুষ বা পিতৃ জাতি যে নারীর চেয়ে মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ এর কোন প্রমানই থাকতো না।
আরো পড়ুন : ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা তারাতারি বেড়ে ওঠে নাকি মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা
নারী সৃষ্টি রহস্য । নারীরা কোমল আর দুর্বল কেন?
এখন বিবেচনার বিষয় হলো কোন বস্তু থেকে কোন বস্তুকে সৃষ্টি করা হলে সৃষ্ট জিনিষটি আসল পদার্থ থেকে অপেক্ষা কৃত কম শক্তিশালী হয়ে থাকে। যদিও সৃষ্ট পদার্থটি পরম উপাদেয় বা মুখ রোচক হোক না কেন। যেমন কোন ফল থেকে ফলের রস। ফলটি বেশ শক্তিশালী কিন্তু তার রস অবশ্যই উপাদেয় ও মুখরোচক হবে, তবে শক্তিশালী নয়। তেমনি পুরুষজাতি থেকে নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে, তাই পুরুষ মূল ফল কিন্তু নারী ফলের রস তুল্য। পুরুষ হলো ভোগী নারীরা ভোগ্যা, তাই তাদেরকে নিম্নমানের করে পুরুষের ভোগ্যা তথা অধীনস্থ করে দেয়া হয়েছে। নতুবা তারা পুুরুষদের মত যোগ্যতায় ও শক্তিতে সমমানের হলে পুরুষের জন্যে মুখরোচক তথা তৃপ্তি দায়িকা হিসাবে সৃষ্টির কল্যাণ ও পরিবেশকে অক্ষুন্ন রাখতে পারতো না।
উপসংহার : নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন?
প্রিয় পাঠক, লিখিত নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন? পোস্টটি কবি সুধী মোজাম্মেল হকে এর ‘নারী চিত্র’ প্রবন্ধ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্মানীয় কবি সাহেবের “নারী চিত্র” প্রবন্ধটি ধারাবাহিকভাবে এই সাইটের সাহিত্য মেনুতে প্রকাশ করা হয়। আপনি এমন তথ্য বহুল আর রহস্যজনক আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাহিত্য পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url