নারীরা এতো অবাধ্য কেন? আসল রহস্য জেনে নিন
বন্ধুরা আজ এমন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম যে, যা পড়ে আপনি অবাক না হয়ে পারবেন না। পোস্টের বিষয়টি নিশ্চই জানেন, নারীরা এতো অবাধ্য কেন? আসল রহস্য জেনে নিন। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
পোস্ট সুচিপত্র
নারীরা এতো অবাধ্য কেন ? অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া
নারীদের মাঝে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার গুন প্রবলভাবে বিদ্যমান। অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার গুনের কারনেই অবাধ্যতা গুনের সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই পুর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, নারীরা মানব জাতির মা হযরত হাওয়া (আঃ), আদমের (আঃ) পাঞ্জরাস্থি দ্বারা তৈরী, আর পাঞ্জরাস্থি স্বভাবতই বক্র। তাই প্রত্যেকটি নারীর মধ্যেই বক্রতাসুলভ অবাধ্যতা গুন বিদ্যমান।
আরো পড়ুন : নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি হবার কারণ কি?
প্রথম সীমা লঙ্ঘন
সেই স্বর্গরাজ্যে আদম (আঃ) যখন স্বীয় স্ত্রীকে বললেন, তুমি কখনোও প্রভু নিষিদ্ধ বৃক্ষটির নিকটবর্তী হয়োনা, কারণ ওটি একটি খারাপগুনের বৃক্ষ, ওর নিকটবর্তী হলে বা ওর ফল ভক্ষন করলে, হয়তোবা অনাবিল শান্তির এই স্বর্গ রাজ্যে আমাদের স্থান না’ও হতে পারে, এবং সেই সঙ্গে স্রষ্টার হুকুম লঙ্ঘনের কোপ আমাদের উপর বর্ষিত হতে পারে।
স্বামীকর্তৃক এমন নিষেধ বানী সত্তেও হাওয়া (আঃ) অন্যের দ্বারা প্রভাবিত গুনের কারণে শয়তান নামক মানব জাতির চিরশত্রুর মিষ্টি প্রবঞ্চনায় আক্রান্ত হয়ে আল্লাহ ও আদমের (আঃ) নিষেধ অমান্য করে সেই নিষিদ্ধ বৃক্ষটির ফল খেয়ে ফেল্লেন, যার ফলশ্রুতিতে তারা সু-স্থানের (স্বর্গরাজ্য) যোগ্যতা হারিয়ে (কু-স্থান) পৃথিবীতে বসবাসের যোগ্য হয়ে পড়লেন।
আরো পড়ুন : ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা তারাতারি বেড়ে ওঠে নাকি মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা
নারীরা এতো অবাধ্য কেন?
এমনকি অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার গুন তাদের মাঝে এমন অবিচ্ছেদ্য ভাবে বিদ্যমান যে, তারা পৃথিবীর অধিবাসী হবার পরও স্বর্গরাজ্যের শয়তান কর্তৃক কু-পরামর্শের ক্ষতির কথা ভুলে গিয়ে আদম (আঃ) এর নিষেধাজ্ঞা সত্তেও ইবলিসের ছেলে খান্নাস কে বার বার হযরত হাওয়া (আঃ) প্রশ্রয় দিয়েছিলেন। পরিশেষে সেই খান্নাস কে আদম (আঃ) হত্যা করে তার মাংস হযরত হাওয়া (আঃ) খাইয়ে দিয়েছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে নারীরা শয়তানী কাজ কর্মে সাহসা অধিক জড়িত হয়ে পড়তে বাধ্য হন। যাইহোক, সচরাচর তারা অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় তাদেরকে অবাধ্যতা গুনে ভূষিত হতে হয়েছে। (আল্লাহ আলামু)
নারীরা স্বভাবে হালকা হওয়ায় সহজেই সবাইকে বিশ্বাস করে
প্রিয় পাঠক, এতে করে আমি মা হাওয়া (আঃ) এর প্রতি বিন্দুবিস্বর্গ দোষারোপ করছিনে বরং সৃষ্টির রহস্যেই তারা পুরুষ জাতি হতে অধিক হালকা তথা মানসিক ভাবে দুর্বল ও অক্ষম। কারন চিকন কঞ্চিকে সাহসা যে ভাবে বাঁকানো যায়, মোটা ও কঠিন কঞ্চিকে তেমন এত সহজে বাঁকানো সম্ভব হয় না, তাই চিরশত্রু শয়তান পুরুষকে পরিহার করে হালকা নমনীয় নারী জাতিকেই সহজে কাবু করে থাকে। অতএব দেখা যাচ্ছে, এই প্রভাবপুষ্ঠতা মূলত তাদের দোষ নয় বরং অক্ষমতা জনিত দুর্বলের উপর প্রবল পরাক্রান্ত সবলের অত্যাচার।
তাই বলা হয়েছে, প্রভাবপুষ্ঠতা গুনের কারনেই অবাধ্যতার গুন সৃষ্টি হয়ে থাকে, প্রতিটি পুরুষ তাদের সাংসারিক জীবনে এই বাস্তবতা অনুভব করতে পারবেন। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে অবাধ্যতা গুনেই যদি থাকবে তবে নারীরা পুরুষের ঘর করছে কিভাবে?
প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, মস্তিস্কের দৈন্যতাজনিত অক্ষমতার কারনেই অবাধ্যতা গুনের সৃষ্টি হয়েছে। পরিনামে সংসার জীবন যাপন করার নিমিত্তে রাজপ্রসূত গুনের অধিকারী পুরুষজাতির অধীনস্থা করে দেয়া হয়েছে। যেমন গৃহপালিত জীবগুলো ব্রেইনের ভারসাম্যহীনতার কারনে সবাই অবাধ্য। অথচ তাদেরকে প্রতিটি মানুষের বাড়ীতে বাঁধা অবস্থায় বাধ্য জীবন যাপন করতে হয়। পরন্ত এটাও স্রষ্টার এক প্রকার কৌশল যে, অবাধ্য জিনিসের দ্বারাই বাধ্য জীবন যাত্রা নির্বাহ করিয়ে নেন।
আরো পড়ুন : কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য জানলে অবাক হবেন।
নারীদের ঈমানীশক্তি
পুরুষের তুলনায় নারীর ঈমানও অর্ধেক। তাই একজন পুরুষ স্বাক্ষীর স্থলে দুজন মহিলা স্বাক্ষীর প্রয়োজন দেখা দিয়ে থাকে। অর্ধেক ঈমান বা যোগ্যতার কারনে দুজন মহিলা একজন পুরুষের সম্পুরক হিসাবে গন্য। দু’জন মা শব্দের সমন্বয়ে একচন পুরুষ বাচক মামা শব্দের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
যাহোক তাদের এই অর্ধেক যোগ্যতার কারনে ঈমানী শক্তিতে এরা বড়ই দুর্বল। পুরুষজাতি পৃথিবীতে না থাকলে শয়তান কর্তৃক আক্রান্ত নফসের অধিকারিনী নারীরা অত সহজে স্রষ্টাকে স্বীকার করত কি-না সন্দেহ। আল্লাহর খলিফা পুরুষজাতির পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ না থাকলে কোন রমনী-ই বোধ করি তাদের স্রষ্টার উদ্দেশ্যে আনুগত্যর সেজদা করত না। আল্লাহই সমধিক পরিজ্ঞাত।
এর কারন হলো, শয়তান তাদের উপর সেই তখন থেকেই অত্যান্ত পরাক্রমশীল। হাদিসে এ সর্ম্পকে একটি বাণী আছে, “নারী জাতি শয়তানের রশি স্বরুপ” অর্থ্যাৎ নারীরা শয়তানী কর্মে যেরুপ সাহসা উদ্বুদ্ধ হয়, পুরুষরা অত সহজে তা হয় না।
নারীদের গায়ে খান্নাসের ঘ্রান
একশত ব্যবহৃত কাপড়ের স্তুপের মধ্যে মেয়েদের ব্যবহৃত একটি কাপড় রাখলে আঘ্রানে তা অচিরেই নারীর কাপড় বলে চিহ্নিত করা যাবে, মেয়েদের গায়ের বা কাপড়ের যে আলাদা আঘ্রানটা ওটাই নাকি শয়তানের গায়েব গন্ধ, এটা বিজ্ঞ বানী থেকে নির্ণিত।
যুবতী নারীরা সমধিক শয়তানের নিকটবর্তী, যার ফলে তারা যুবতী জীবনে আল্লাহর ইবাদতের প্রতি সম্যক আকৃষ্ট থাকে না। পরন্ত বৃদ্ধা হলে যখন তাদের উপর থেকে শয়তানের প্রভাব অপসারিত হয়। তখন তারা অধিকাংশই পুরুষধর্মী হয়ে পড়ে, এবং পুরুষেরদের মত ইবাদত বন্দিগীতে লিপ্ত থাকতে ভালবাসে। এমনকি যুবতীদের করা অশালীন কর্মকান্ড তাদের চোখে বিষবৎ অনুমিত হতে থাকে। তাই তারা মা বা শ্বাশুড়ীর জীবনে সংযত জীবন যাপনের জন্যে তাদের অধীনস্থ বধু বা কন্যেদেরকে কড়া নির্দেশ প্রদান করে থাকে। তখন তারা পর্দা সংরক্ষনের জন্যে অধীনস্থদের কে বোরকা বা আবরনী ব্যবহার করতে বার বার নির্দেশ প্রদান করে থাকে।
অতএব পুর্ণ নারীত্ব জীবনে এরা যে, শয়তানের অধিক নিকটবর্তী অবস্থান করে থাকে এটা খুবই বিশ্বাসযোগ্য তথ্য।
উপসংহার: নারীরা এতো অবাধ্য কেন? আসল রহস্য জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, নারীরা এতো অবাধ্য কেন? আসল রহস্য জেনে নিন বিষয়ের এই পোস্টটি কেমন লাগলো জানিয়ে কমেন্ট করবেন, ভাল ভাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করবেন। পোস্টটি কবি সুধী মোজাম্মেল হক রচিত নারী চিত্র প্রবন্ধ থেকে নেয়া হয়েছে। উক্ত প্রবন্ধটি এই সাইটের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত পোস্ট করা হয়। এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট জানতে আমাদের সাহিত্য পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url