হাত পা কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কার্যকরী টোটকা

প্রতিনিয়ত কোন না কোন ভাবে আমাদের হাত পা কেটে যায়। হাত পা কেটে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা আসলে কি করব ভেবে পাই না, কাটা জায়গা থেকে রক্ত বের হওয়ায় হতভম্ব হয়ে পড়ি। হাত পা কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কার্যকরী টোটকা বিষয়ক পোস্টটিতে আমাদের হাতের কাছে পাওয়া একটি গাছকে ব্যবহার করে কার্যকরী ঔষধ বানিয়ে ফেলতে পারি। গাছটি আমাদের অতি পরিচিত নয়ন তারা ফুল গাছ। এই পোস্টে নয়নতারা ফুল গাছের পরিচয় জন্মস্থান ও প্রাপ্তিস্থান এবং কিভাবে এর দ্বারা হাত পা কেটে যাওয়াসহ কাটা জায়গায় ইনফেকশনে ব্যবহার বিধি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।

পোস্ট সুচিপত্র

বিভিন্ন ভাষায় নয়নতারার ডাক নামসমূহ

বাংলা : নয়নতারা

হিন্দী : সাদাবাহার

ইংরেজী : Catharanthus

বৈজ্ঞানিক নাম : Vinca nosea


আরো পড়ুন : মাইগ্রেনের ব্যাথা কমানোর উপায় কী


নয়নতারা গাছের পরিচয়, জন্মস্থান ও প্রাপ্তিস্থান

সোজা কাণ্ডযুক্ত এটি একটি গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। গাছটি লম্বায় খুব একটা বড় হয় না। সাধারণভাবে দেড় থেকে দুই ফুটের মতো লম্বা হয় । এর পাতা  কান্ডের দুই দিকে  দুইটি করে জন্মায়। পাতা লম্বা ধরনের এবং আগার দিকটা ভোঁতা । পাতার রং গাঢ় সবুজ। হের শিরা গুলো অতি স্পষ্ট সহজেই চোখে পড়ে। প্রত্যেক ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। পাপড়ির রঙ  হালকা গোলাপী। এই গাছে বারো মাস ফুল ফোটে ।


আরো পড়ুন : যৌন জীবনকে করুন আরো শান্তিময়। শতভাগ পুরুষত্ব ফিরিয়ে আনতে যাদুকরী এই গাছ সম্পর্কে জানুন


নয়নতারা গাছের আদি জন্মস্থান মাদাগাস্কার। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ভারত ও পাকিস্তানের প্রায় সমস্ত এলাকাতেই কম-বেশি এ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। রেললাইনের ধারে, ছায়াযুক্ত স্থানে বালু রাখলে তার মধ্যে এরা জন্মায় এবং পাথর যুক্ত মাটিতেও এরা বেঁচে থাকতে পারে। যেখানেই গজাক না  কেন, কোনো রকম যত্ন করার প্রয়োজন হয় না। এর বিশেষ গুণ হলো, মাটির ক্ষয় রোধ করা। সাম্প্রতি ভূমিক্ষয় রোধ করতে ঢালু জমিতে নয়ন তারা চাষ করা হচ্ছে প্রচুর।





ঔষধি ছোট্ট বৃক্ষ হিসেবে পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এর কদর দিন দিন বেড়েই চলেছে। গাছের শুকনো ডালপালা, শেকড় প্রতি বছর প্রায় হাজার হাজার মেট্রিক টন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চালান হচ্ছে। আর তাই বর্তমানে বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক হারে এর চাষ শুরু হয়েছে। পাতা খেতে তিতা বলে গরু-ছাগল এতে মুখ দেয় না। গাছের বয়স মাত্র ছয় মাস হলেই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে ।


কাটা জায়গায় ইনফেকশন হলে নয়নতারার ব্যবহার

শরীরের কোনো অঙ্গ কেটে গেলে অথবা কাটা জায়গায় ইনফেকশন হলে, নয়নতারা গাছের রস ব্যবহার করলে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়। প্রতিদিন একবার করে কচি ডাল ও পাতাকে বেটে তার রস দিয়ে ইনফেকশন এর ঘা ধুইয়ে বেঁধে রাখতে হবে। সাত দিন ব্যবহার করলে ইনফেকশন নষ্ট হবে এবং ঘা শুকিয়ে যাবে।


আরো পড়ুন : ছয়টি ভেষজ গাছে ডায়বেটিস নিরাময়ের প্রাকৃতিক উপায় জেনে নিন


হাত পা কেটে গেলে নয়নতারার ব্যবহার

যেকোনো অস্ত্রের আঘাতে শরীরের কোন অঙ্গ কেটে গেলে কাটা জায়গায় নয়নতারা পাতার রস ব্যবহার করে বেঁধে রাখতে হবে। এটি লাগানোর সাথে সাথে কাটা জায়গায় রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। একদিনেই এর ফলাফল বোঝা যায় তবে, তিন চার দিন ব্যবহার করলে কাটা জায়গা জুড়ে যাবে। এটি খুবই কার্যকরী ও পরীক্ষিত একটি ঔষধ। আমাদের দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শরীরের যে কোন অঙ্গ কেটে গেলে নয়নতারার ব্যবহার বহুল পরিচিত।




উপসংহার: হাত পা কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কার্যকরী টোটকা

প্রিয় পাঠক, হাত পা কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কার্যকরী টোটকা বিষয়ক পোস্টটি পড়ে নিশ্চয়ই আপনি নয়ন তারা গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে ফেলেছেন।বিভিন্ন ভাষায় এই গাছের নাম, গাছের প্রাপ্তিস্থান, জন্মস্থান ও এর ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url