নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি। কেন? প্রমানসহ জেনে নিন
নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি? কথাটা শুনতেই আপনার অবাক লাগছে তাই তো? অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই পোস্টটি পুরাটা পড়ে আপনি সত্যিই তথ্যবহুল প্রমান ও উদাহরণ পাবেন।তবে কথা না বাড়িয়ে, নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি। কেন? প্রমানসহ জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য বিষয়ের পোস্টটি শুরু করা যাক।
অন্যের প্রভাবপুষ্ঠতা গুন (সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হওয়া)
নারীরা অতি সহজেই অন্যের খারাপ বা শয়তানী প্রভাবে জড়িত হয়ে পড়ে এবং প্রতারক পুরষেরা লোভনীয় একটু মিষ্টি কথাতেই স্বীয় জীবনের অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়। কেউ বা প্রতারক পুরুষের খপ্পরে পরে আপন গর্ভজাত প্রিয় সন্তানাদীর মায়া পরিত্যাগ করে নিরুদ্দেশ হচ্ছে। নারীদের ঈমান ও বুদ্ধি অর্ধেক হওয়ায় তারা স্বীয় ভারসাম্য বা ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম নয়।
পরিনামে স্বীয় পদেই কুঠারাঘাত করে পরিশেষে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে বেঁচে থাকতে বাধ্য হয়। কেউ বা সন্তান ও স্বামী বধকরে দেশান্তরী হয়ে জলে ভাষা ক্ষুদে তৃণের মত জীবন সংসারে অথৈ জলে চিরতরে নিরুদ্দেশ হচ্ছে। কেউবা শিক্ষকের স্ত্রী হয়েও স্বীয় মর্যাদার মুল্যায়ন বিস্মৃত হয়ে স্বামীর ছাত্রের হাত ধরে জীবন সমুদ্রে নৌকাডুবি ঘটাচ্ছে।
প্রভাবপুষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে শয়তানের সফলতা
হযরত হাওয়া (আঃ) স্বর্গরাজ্যে শয়তানের প্রভাবেই প্রভাবিত হয়ে আল্লাহর হুকুম লঙ্ঘন করেন। এতে করে আমি মা হাওয়া (আঃ) এর প্রতি বিন্দু বিসর্গ দোষারোপ করছিনে। কারন তাদেরকে যেভাবে, যে গুনাবলীতে সৃষ্টি করা হয়েছে, অবধারিতভাবে সেই গুনোবলীর প্রভাবে তাদের উপর বিস্তার লাভ করবেই। কারন গুড়ের পায়েশকে চিনির পায়েশ মনে করার মত বিভ্রান্ত মনা পুরুষজাতের বিশ্বে কোন অভাব নেই।
আরো পড়ুন : কালো ও ফর্সা মেয়ের পার্থক্য জানলে অবাক হবেন।
নারীদের মাঝে অন্যের প্রভাবপুষ্ঠতার গুন এমন জোড়ালোভাবে বিদ্যমান যে, ষাট বছরের সু-স্বাস্থের অধিকারী বৃদ্ধের খেদমতে যদি একটি ষোল বছরের তরুনীকে নিয়োজিত রাখা যায়, কিছু দিনের মধ্যেই তরুনীর পক্ষ থেকে বৃদ্ধকে স্বামীত্বে লাভ করার অভিলাষমুলক অভিব্যক্তি লাভ করা যাবে। এতে কোনই সন্দেহ নেই। সহজ কথায় মস্তিস্কদৈনতার করনেই তাদের ব্যক্তিত্বহীনতা আর ব্যক্তিত্বহীনতার কারনেই অন্যের প্রভাবপুষ্ঠতা। অন্যের প্রভাব এড়ানোর লক্ষ্যে তাদের জন্য প্রয়োজন স্বাভাবিক পর্দা প্রক্রিয়া ও সহজ সজাগ দৃষ্টি রাখা।
নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি
লজ্জা ঈমানের অঙ্গ। যাদের লজ্জা অংশ কম, তাদের ঈমানও কম। নারীদের ঈমান অর্ধেক, তাই তাদের লজ্জাও যে অর্ধেক, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
পুরুষরা কড়া ব্যক্তিত্বের অধিকারী, তাই তাদের লজ্জার ভাগও গভীর, তাই তা সহজে দেখা বা অনুভব করা যায় না। নারীর লজ্জা অর্ধেক তথা হালকা, তাই তা সহজে ব্যবহার্য বা প্রযোজ্য। যেমন হাতুড়ী ভারী বা গভীর তাই তা সহজে ব্যবহার্য নয়।
নারী লজ্জাও অনুরুপভাবের যেমন অল্প শোকে কাতর, অধিক শোকে পাথর, কাউকে যদি প্রশ্ন করা যায়, কার লজ্জা বেশি পুরুষের না মেয়ের? সে হয়তো চট করে বলে বসবে মেয়ের।
আরো পড়ুন : Homosexuality and Porn : নগ্নতা ও সমকামিতা 'র প্রভাব থেকে আপনি মুক্ত তো?
পুরুষ ও নারীদের লজ্জার প্রকরণ
পুরুষের লজ্জা যেহেতু অত্যন্ত গভীর তাই তা অনুভবের, কিন্তু প্রদর্শনের নয়। নারী লজ্জা মুচকি হাসির মত হালকা, তাই তা অধিক বলে অনুমিত হয়। শোকে কাতর অবস্থা লক্ষনীয়, কিন্তু পাথর অবস্থা লক্ষনীয় নয়। কিন্তু তা অনুভবের বা উপলব্ধির।
যেমন কোন বিপদে অথবা কারোও মৃত্যুতে শিশু ও নারীরা কান্নায় বা হৈচৈ করে বাড়ী মাথায় তোলে কিন্তু গৃহস্থের সেই মহা বিপদে সমধিক ক্ষতি হলেও সে সহসা কান্না করেনা বা হৈ চৈ করে না। নারী ও শিশুদের মগজ হালকা উপাদানে তৈরী হওয়ায় ভারসাম্যহীনতার কারণে তারা অধিক শোকান্বিত বা অধিক কাতরতা প্রকাশ করে থাকে। কান্না বা হৈ চৈ করে না জন্যে কি কেউ বলতে পারবে যে, গৃহস্বামী মোটেই শোকাক্রান্ত হন নি। নারী ও পুরুষের লজ্জার প্রকরণ টাও ঠিক তেমনিভাবের।
পুরুষরা জন্মগত ভাবেই অনেক বেশী উপাদান দিয়ে তৈরী, তাই তারা অধিক সম্ভ্রমশীল হতে বাধ্য। আর এই কারণে তাদের লজ্জাও সংরক্ষণশীল।
লজ্জা যদি সকল অবস্থায় সকল ক্ষেত্রে একইরকম থাকে তবে তাকেই প্রকৃত লজ্জা হিসাবে মনে করা যেতে পারে। পুরুষের লজ্জা নারীদের কাছে হউক বা পুরুষের কাছে হউক তা সবক্ষেত্রে একই রকম তথা একই পর্য্যায়ভূক্ত। কিন্তু নারীর লজ্জা অবস্থা বা ক্ষেত্র বিশেষ। লজ্জা যদি প্রকৃত লজ্জাই হয়, তবে তা অবস্থা বা ক্ষেত্র বিশেষ বিবেচনা করবে না বরং সর্বদা একই ভাবের থাকবে। পুরুষের লজ্জা পুরুষ বা নারী উভয়ের কাছেই সমান। তাই পুরুষের লজ্জাকে ঈড়সঢ়ষরঃব বা পূর্ণ লজ্জা বলা যায়, এমনকি আপন ব্যক্তিত্ব বা পৌরুষ বিপন্ন হওয়ার ভয়ে তারা নারী অপেক্ষা পুরুষের নিকটই সম্ভ্রম প্রদর্শনে অধিক লজ্জা বোধ করে থাকে। আর নারীর লজ্জা শুধু পুরুষে কাছে কিন্তু নারীর কাছে নয়।
পুরুষ ও নারীদের লজ্জার বিশ্লেষন
পুরুষরা আপন ব্যক্তিত্বে পর্বততুল্য অনড় বা অটল। তাদের আপন ব্যক্তিত্ব বৈশিষ্টে ভরপুর। তাই তারা চায়না, যে তাদের নিজের ইজ্জৎ আব্রæ অন্য কেউ দেখে ফেলে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করুক। তারা সকলেই স্ব স্ব ভাব ব্যক্তিত্বে রাজ মহিমায় সমুজ্জল। তারা প্রয়োজনে মরতে ইচ্ছুক কিন্তু আপন সম্ভ্রম কোন পুরুষ বা নারী কাউকেই দেখাতে রাজী নয়। আর একারণেই আপত্তিকর স্থান অপারেশনে পুরুষরা মরে গেলেও স্বীয় ইজ্জত কাউকে দেখাতে রাজী নয়। সংক্ষিপ্ত ভাবে এটাই হচ্ছে পুরুষ জাতির লজ্জা অধ্যায়ের পরিচিতি। তবে হ্যাঁ, প্রশ্ন হতে পারে যে পুরুষরা যদি এতই সম্ভ্রমশীল হতো তবে নারী সংস্পর্শের জন্য তারা এত আগ্রহী কেন? এর সংক্ষিপ্ত উত্তরে এই বলা যায় যে, তাদেরকে ভোগী স্বভাব দ্বারা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তাই তাদের এই নারী আগ্রহ বোধ একটি স্বভাবগত বিষয়।
আরো পড়ুন : ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা তারাতারি বেড়ে ওঠে নাকি মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা
অপর পক্ষে নারীদেরকে আল্লাহ পুরুষের ভোগ্য সামগ্রী হিসাবে সৃষ্টি করছেনে, স্বভাবতই ভোগ্য বস্তুর স্বকীয় কোন ব্যক্তিত্ব বা সম্ভ্রম বোধ থাকার কথা নয়। বাগানের সকল ফুল যেমন একটি ফুল, নারীরাও তেমনি, অর্থ্যাৎ সকল নারী একই স্বভাব বা সমভাবাপন্ন তারা পুরুষদের জন্য সকলেই নিবেদিত প্রাণসম্পন্য সৃষ্টি। এ ছাড়াও একই মানুষ হওয়া সত্বেও আলাদা জাতি গত বৈষম্যের কারণে পুরুষ অপেক্ষা নারী অনেক নূন্যতম উপাদানে সৃষ্টি। তাই তাদের লজ্জা পুরুষ কেন্দ্রীক মহিলা কেন্দ্রীক লজ্জা তাদের মধ্যে এজন্য থাকার কথা নয়।
প্রমান স্বরুপ বলা যায় যে, কোন পুরুষ কোন গোপন জায়গায় প্রকৃতির প্রয়োজনে বসলে আর সহসা যেখানে অন্য কোন পুরুষের আগমন ঘটলে তারা চটকরে দাড়িয়ে লজ্জা আড়ষ্ট অবস্থায় নিম্নমুখি হয়ে দাড়িয়ে থাকে। অপর পক্ষে কোন নারী অনুরুপ প্রকৃতিক প্রয়োজনে বসলে আর সহসা যেখানে আরেক নারীর আগমন ঘটলে সে চট করে দাড়িয়ে লজ্জা প্রদর্শন করার কোনই প্রয়োজন বোধ করে না। আর সমগ্র বিশ্বে নারী প্রকৃতি এমনভাবেই চলছে। অথচ অনুভূতিশীল জীব হিসাবে এমন আচরন না করার জন্য হাদিসে একই লেপের নীচে দুজন মহিলার শয়নকেও নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে, কারন মানুষ কোন মুহুর্ত শয়তানের প্রভাব মুক্ত নয়।
যাইহোক, তাদের লজ্জা শুধু পুরুষ কেন্দ্রিক জন্যই সকলেই সমপয্যায় ভুক্ত তথা একান্ত। তাই লজ্জা বিষয়ে তাদের মধ্যে মা, মেয়ে চাচী ভাতিজি এসবের মধ্যে লজ্জা গত কোন বৈপরীত্য নেই। তারা সকল নারী একে অপরকে এতই সমপর্য্যায় ভূক্ত মনে করে যে, এক নারী আরেক নারীর কাছে লজ্জা প্রদর্শনে বিন্দুমাত্র লজ্জা বোধ করে না। আর এ কারনেই কোন নারীর আপত্তিকর স্থানে মহিলা ডাক্তার কর্তৃক অপারেশনের কথা শুনলে তারা লজ্জা পাওয়া তো দূরের কথা যেন বর্তে যায়। নারীদের এই একাত্বতার প্রশিক্ষণ তারা বাল্যকাল থেকে গ্রহণে অভ্যস্থ হয়ে থাকে।
হাদিসে কুমারী মেয়েদের লজ্জা আছে বলে আভাষ পাওয়া গেছে। সেটা তাদের নারী জীবনের বিকাশোম্মুখ সময়ের মুচকি হাসির মত একটু আমেজ পূর্ন লজ্জা। সেটা প্রায় পুরুষ নারী উভয়ের কাছেই একই পর্য্যায়ভুক্ত লজ্জা।
নারীদের ধারনা: আমরা সকলেই মেয়ে, আমরা সবাই একই পর্যায়ের।
মেয়েরা তাদের বান্ধবীদের নিয়ে সাজ গোজ করে থাকে এবং তারা রানী বা রাজ কুমারী ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত মহিলাদেরকে শাড়ী গহনা ইত্যাদি পড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগীতা করে থাকে, এটাও এক শ্রেণীর ব্যাক্তিত্বহীনতা ও লজ্জাহীনতার নামান্তর হলেও সেই কথিত সমপর্য্যায়ের নামান্তর। অথচ পড়িয়ে দেয়া তো দুরের কথা, পুরুষরা কাপড় চোপড় পরাকালীণ মুহুর্তে অন্য কোন পুরুষের উপস্থিতিতে বিরক্ত বোধ করে থাকে। পরন্ত এটাই ভোগ্য ও ভোগী, ব্যক্তিবান ও ব্যক্তিত্বহীনতা বোঝানোর একটি প্রকৃষ্ট প্রমাণ। আজকাল তো বিয়ের কনে সাজানো হয়ে থাকে বিউটিপার্লারের মাধ্যমে।
শেষ কথা : নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি
এসব ব্যাপারে তাদের লজ্জাহীনতার আসল রহস্যটা এই যে, তারা মনে করে আমরা সকলেই মেয়ে, তথা একই পদার্থ। তাদের লক্ষ্যস্থল বা উদ্দেশ্য একমাত্র পুরুষের মর্জি বা মনোতুষ্টি অর্জণ। তাই সকল মেয়ে প্রাণপন প্রচেষ্টায় আরেকটা মেয়েকে সজ্জিত করে কোন পুরুষকে উপহার দিয়ে কৃতার্থ বোধ করে থাকে। এরা সচেতন হলেও অচেতন আসবারপত্রের মত একই শ্রেণীর। মহান সৃষ্টার সৃষ্টি সামগ্রী তথা পুরুষ জাতির রিজেক বা ভোগ্য পদার্থ অতএব, সঙ্গতপূর্ণ সম্ভ্রমবোধ এরা পাবে কোথায়?
উপসংহার : নারীদের চেয়ে পুরুষদের লজ্জা বেশি। কেন? প্রমানসহ জেনে নিন
নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি। কেন? প্রমানসহ জেনে নিন বিষয়ের এই পোস্টটি কেমন লাগলো জানিয়ে কমেন্ট করবেন, ভাল ভাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করবেন। পোস্টটি কবি সুধী মোজাম্মেল হক রচিত নারী চিত্র প্রবন্ধ থেকে নেয়া হয়েছে। উক্ত প্রবন্ধটি এই সাইটের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত পোস্ট করা হয়। এরকম আরো তথ্যবহুল পোস্ট জানতে আমাদের সাহিত্য পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url