ছেলে সন্তানের উপর মায়ের অধিকার ও হক বেশি কেন?
সন্তান ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক তাদের উপর মায়ের অধিকার বা হক থাকে। কিন্তু ছেলে সন্তানের উপর মায়ের অধিকার বা হক বেশি থাকে। এই পোস্টে বিষয়টার বেশ কয়েকটি উদাহরণসহ বর্ণনা করা হয়েছে। পোস্টটি অনেক বেশি তথ্যবহুল করা হয়েছে পুরোটা মনোযোগ দিয়ে পড়ুন আর জেনে নিন ছেলে সন্তানের উপর মায়ের অধিকার ও হক বেশি কেন?
পোস্ট সূচিপত্রনারীদের জ্ঞান শক্তি সাহস
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞান বানী হাদিসের উল্লেখিত হয়েছে যে, মেয়েদের শক্তি জ্ঞান ও ঈমান পুরুষের অর্ধেক বলে স্বীকৃত। তারা যে সব দিকে থেকে শারিরীক সকল উপাদান ও গুনাবলীতে পুরুষ জাতির অর্ধেক সামর্থ্যর অধিকারিনী, তা শাস্ত্রীয় ও বাস্তব জীবনের নিরিক্ষায় ও সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে।
বিজ্ঞানিকগন বলেন, পুরুষের মগজের ওজন ৪৮০ গ্রাম আর মেয়েদের মগজের ওজন গড়ে ২৪৪ গ্রাম, এই তথ্য থেকেই প্রমানিত হয় যে, তারা পুরুষের অর্ধেক যোগ্যতার অধিকারিনী কারণ মগজ কম হলে জ্ঞান শক্তি, সাহসের পুর্ণরুপ আশা করা যায় না। কারন মস্তিস্কের সাথে হার্টের অতি নিকটতম সর্ম্পক।
নারীরা পুরুষের অর্ধেক
আর জ্ঞানের পূর্ণতা থাকলে সে পূর্ণ ঈমানেরও অধিকারী হতে পারে না। কারন যে যত বড় জ্ঞানী সে সেই অনুপাতে গভীর ঈমানেরও অধিকারী তথা ধার্মিক। আর নারীরা সব দিক দিয়ে পুরুষের অর্ধেক ও মস্তিস্কের গভীরতার দিক থেকে নারীরা অর্ধেক। স্নায়ু শক্তির নুণ্যতার কারনে তারা পুুরুষের যোগ্যতার বিচার্য হতে পারে না। আর সে জন্যই মাদাম কুড়ি ব্যতিত নারীরা কোন বড় বৈজ্ঞানিক হতে পারে নি। এ ছাড়া স্বল্পানুভুতির কারনে তারা কোন বড় কবি ও সাহিত্যক হতে পারে নি। জন্মগত মস্তিস্কের দৈন্যতার জন্যই যে, নারীরা পুরুষের অর্ধেক তা উদাহরণসহ দেখানো হচ্ছে।
ছেলে সন্তানের উপর মায়ের অধিকার ও হক বেশি কেন?
একজন মায়ের একটি পুরুষ ও একটি কন্যে সন্তানের কথাই ধরা যাক। একটি ভাই ও একটি বোন, একই মায়ের দুধ সেবন করে মানুষ হয়ে থাকে। একই হাড়ির অন্ন ব্যঞ্জনে ও একই মায়ের পরিবেশনে তারা উভয়েই প্রতিপালিত হয়। অথচ পরিনামে দেখা যায় যে, ভাইটি দৈহিক দিক থেকে বোনের তুলনায় অধিক লম্বা মোটা সোটা ও বিশাল অবয়ব ধারী একজন পুরুষে পরিনত হয়েছে। অথচ বোনটি ভাইয়ের সাথে তুলনামুলক ভাবে লম্বায় শক্তি সামর্থে তথা সর্বদিক থেকে অনেকাংশে ক্ষীন অথচ পিতৃশুক্রের ও কোন পার্থক্য ছিল না। তাহলে এমনটি হল কেন?
আরো পড়ুন : নারী সৃষ্টি রহস্য, পুরুষ বা স্বামীর মর্যাদা নারী হতে বেশি কেন?
এমনটি হবার কারন হলো যেসব মহিলার পুত্র সন্তান জন্ম লাভ করে থাকে তাদের স্তন্য দুগ্ধে সর্বদা বেশী ক্যালরী খাদ্যমান বিদ্যমান থাকে এবং একক মহান স্রষ্টা সৃষ্টির রহস্যের পার্থক্য পুরুষ সন্তান প্রসুত মায়ের দুধে তা অধিক পরিমাণে দিয়ে থাকেন। আর সে জন্যই পুরুষ সন্তানবতী প্রসূতি মহিলা অধিক দুর্বলতা বোধ করে থাকেন। শরীর থেকে সর্বদা অধিক ক্যালরী তার দুধে জমা হবার ফলে ক্ষীন তথা দূর্বল হতে বাধ্য হয়। যার ফলে পুরুষ সন্তানের প্রসূতি অধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহন করার প্রয়োজন দেখা দিয়ে থাকে। ভাই ও বোনের দৈহিক গঠন ও অন্যান্য পার্থক্যর এটাই একমাত্র কারন।
ছেলে সন্তানের মায়ের স্তনের দুধের পুষ্টিগুন বেশি থাকে
এই প্রেক্ষিতে যদি কোন কন্যা সন্তানের জননী মারা যায়, বা অনুরুপ বিচ্ছেদ ঘটে, আর সেই কন্যা সন্তানটিকে কোন পুরুষ সন্তানের জননীর দুগ্ধ পানে প্রতিপালন করা হয়, তবে অচিরেই সেই কন্যে সন্তানটি অধিক হৃষ্ট পুষ্ট হয়ে উঠতে থাকবে। অপর পক্ষে যদি কোন পুরুষ সন্তানের জননী মারা যায় বা অনুরুপ বিচ্ছেদের কারন ঘটে, আর সেই পুরুষ সন্তানটিকে কোন কন্যা সন্তানের প্রসুতির দুধে প্রতিপালন করা হয়, তবে সেই পুরুষ সন্তানটি প্রতিপালিত হবে ঠিকই কিন্তু তার চাল-চলনে নারী সুলভ স্বভাবের ভাব লক্ষ্য করা যাবে এবং সে অন্যান্য পুরুষদের মত শক্তি সামর্থ্যে, জ্ঞান ও সাহস তথা অন্যান্য পুরুষ সুলভ কর্মকান্ডে অনেকাংশ নুন্যতম হয়ে থাকবে। তদস্থলে তার কর্ম জীবনে লক্ষ্য করা যাবে, সকল প্রকার নারী সুলভ কর্মের প্রতি উৎসাহ উদ্দিপনা উদ্যমসূলভ কর্মের নিরূৎসাহ ও সামর্থ্যর অভাব। আর সেই যে কন্য সন্তান, যাকে পরুষ সন্তানের জননীর দুগ্ধে প্রতিপালন করা হয়েছিলো। সেই মেয়েটির সাহস হবে, পুরুষের মত ত্যেজি আর সকল প্রকার পুরুষসুলভ কর্মে সে পুরুষের মত সমদক্ষতা অর্জনে সামর্থ হবে। এ থেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে, ছেলে সন্তানের মায়ের স্তনের দুধের পুষ্টিগুন বেশি থাকে।
ছেলে ও মেয়ে সন্তানের জন্য কেমন গাভীর দুধ নির্ধারণ করা উচিত
অনুরুপ ভাবের অরো একটি প্রানিধানযোগ্য বিষয় এই যে, যদি কোন কন্যা সন্তানকে এড়ে বাছুর প্রসূত গাভীর দুধ পান করানো হতে থাকে, তবে তার শরীরও অতি তাড়াতাড়ি অধিক ক্যালরী গ্রহনের ফলে হৃষ্ট পুষ্ট হয়ে উঠতে থাকবে, এবং কোন পুরুষ সন্তানকে বকনা বাছুর প্রসুত গাভীর দুধ পান করলে সেই দুধে তেমনটি পুরুষ পালন সম্ভব ক্যালরী না থাকায় নিয়মিত দুধ সেবন সত্বেও সেই শিশুটি তেমন শক্তিশালী পুরুষ হিসাবে পুর্নতা লাভে সক্ষম হবে না।
আরো পড়ুন : নারীরা এতো অবাধ্য কেন? আসল রহস্য জেনে নিন
আর এমন তথ্যের বিশেষ নির্ভরযোগ্যতা আছে যে, এড়ে বাছুর প্রসূত গাভীর দুধে শ্বর বা ঘি অধিক উত্তোলিত হয়, আর বকনা বাছুর প্রসূত গাভীর দুধে অপেক্ষাকৃত কম ঘি উত্তোলিত হয়ে থাকে। তাই বিষয়টার প্রতি গুরুত্ব অরোপ করে অবস্থা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করাই যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি। অর্থ্যাৎ ছেলে সন্তানের জন্য এড়ে বাছুর প্রসূত গাভীর দুধ ও কন্যে সন্তানের জন্য বকন বাছুর প্রসূত গাভীর দুধ নির্ধারন করাই অতি উত্তম হবে। তবে তথ্যগুলোকে আমি দলিল সম্ভুত কার্য হিসাবে মেনে নিতে কাউকে চাপ প্রয়োগ করছিনা। প্রকৃতিক যে ভাবে যে গুনে যাকে প্রতিপালনের নির্দেশ দিচ্ছে আমি এমনটির পক্ষপতি।
“মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত” কথার যুক্তিকতা
যাহোক, হাদিসে আছে “ মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত” এ কথা শুধু নিছক আবেগ প্রসূত বলা হয়নি, আরো মনে রাখতে হবে যে হাদিসের মাধ্যমে সঙ্গত বৈজ্ঞানিক কল্যাণকর কারন ব্যতীত অহেতুক কোন কথা মানব জাতীকে বলা হয় নি।
পুর্বেই উল্লেখিত হয়েছে যে, পুরুষ সন্তান জন্মাকালে সেই মায়ের শরীর থেকে অধিক ভিটামিন তার দুধে জমা হতে থাকে। আর তা ছেলে সন্তানের শরীর গঠনের একমাত্র আব-হায়াত। যার ফলে পুরুষ সন্তানবতী প্রসূত মায়ের সুঠাম স্বাস্থ্য ও দুর্বল হয়ে ভেঙ্গে পড়তে বাধ্য হয় অথবা বাহ্যত খারাপ বোধ না করতে পারলেও তাদের ব্রেন শক্তি অনেকাংশে লাঘব হয়ে থাকে। আর তা ছেলের শরীর গঠনে সাহায্য করে থাকে কিন্তু কন্যা সন্তান জন্মালে তুলনামুলকভাবে মায়ের শরীর থেকে তেমন ক্যালরি ক্ষয় হয় না। যার ফলে কন্যা সন্তানের জননীর স্বাস্থ্যও তেমন খারাপ হতে দেখা যায় না। আর এজন্য মায়ের প্রতিপালনে ছেলের প্রতি যেমন এহসানীমুলক জোড়ালো ভুুমিকা রয়েছে, সেই তুলনায় মায়ের প্রতি কন্যে সন্তানের তেমন ভুমিকা নেই। আর তাই বলে যে, মার প্রতি কন্যা সন্তানের কোন দায়িত্ব নেই এমন কথা বলা হচ্ছে না। কোন মায়ের ছেলে না থাকলে আর কন্যা সন্তান মায়ের প্রতিপালনে সামর্থ্যের অধিকারিনী হলে তাকে মায়ের প্রতিপালনের প্রতি অপরিহার্য কর্তব্য রুপে দেখা যায়।
মায়ের ভরন পোষন দেয়া ছেলের উপর ফরজ
কিন্তু মায়ের ভরন পোষনে ছেলের ভূমিকা এ জন্যেই বেশী যে, মায়ের শরীর থেকে অধিক ক্যালরি বা পুষ্টি উপাদান ছেলে সন্তানের শরীরে প্রবিষ্টের ফলে মায়ের প্রতি ছেলের হক কন্যা সন্তানের চেয়ে অনেক বেশী আর প্রকৃতিগতভাবে উপরোক্ত কারনেও মায়ের স্নেহ ও ভালবাসা ছেলে সন্তানের উপরই বেশি । আর এই আধিক্যের কারণে মায়ের ভরন পোষন দেয়া ছেলের উপর ফরজ। যে ছেলে মা’কে প্রতি পালনে অনীহা পোষন করবে সে নির্ঘাত একজন জালেম। তার অকৃতজ্ঞতার পরিনাম স্বরুপ সামাজিক রাষ্ট্রীয় বা ধর্মীয় আইনে তাকে নির্দ্ধিধায় দন্ডিনীয শাস্তি প্রদান করা উচিত। যে সন্তান মা’কে স্ত্রী বা অন্য কারোর প্ররোচনায় ভরন পোষণে অমনোযোগী, প্রয়োজনে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করেও মাতৃহকের পরাকাষ্টা দেখানো অতিব জরুরী।
আরো পড়ুন : নারীদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশি। কেন? প্রমানসহ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক, নারী জাতি অক্ষমা অসহায় তথা পুরুষ জাতির প্রতি সম্পুর্ন নির্ভরশীল তাই রক্ত সর্ম্পকীয় নারীদের খোঁজ খবর নেয়া রেহেমীয় দায়িত্ব। এই রেহেমকে মূল্যায়ন না করলে সেই ব্যক্তির ইবাদত বন্দেগী কবুলের যোগ্য কি-না আমার জানা নাই। সর্বোপরি মাতৃহক পালন করার জন্যে কোরআন হাদিসের নির্দেশ মোতাবেক সকলের প্রতি স্ব-নিবন্ধ আবেদন ও অনুরোধ রইল।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url