বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট
পাতাকপি বলতেই আমরা পাতাকপি ভাজি রেসিপি কে বুঝে থাকি। কিন্তু পাতাকপি দিয়ে মজাদার একটি খাবার তৈরি করা যায়। এটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবে আদিকাল থেকে সুপরিচিত। ঠিকই ধরেছেন আমি বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট সম্পর্কেই বলছি।
পোস্ট সূচিপত্রবাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট
দেশীয় খাবার খেতে কার না ভালো লাগে। আজ আমি আপনাদের এমন একটি খাবার রেসিপি সম্পর্কে জানাবো যেটি বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার পাতাকপি কন্ঠ। আমাদের দেশে শীতকালে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় সবজি উৎপাদিত হয়। শীতকালীন এই বিভিন্ন রকম দেশীয় শাকসবজির মধ্যে পাতাকপি একটি অন্যতম পুষ্টিকর সবজি। বাঁধাকপি দিয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্ন রকম রেসিপি তৈরি করে খেতে পছন্দ করেন।আজকের রেসিপি পাতাকপি ঘন্টা আপনার ভালো না লাগে পারেই না। নিজে তৈরি করে এর স্বাদ নিয়েই দেখুন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট।
আরো পড়ুন : বাঙালী খাবার রেসিপি : কাঁঠালের বিচি দিয়ে ডাটা চচ্চরি
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- মাঝারি আকারের পাতাকপি ১টি
- আলু ৪-৫টি
- কাঁচামরিচ ১০-১২ টি
- পেঁয়াজ কুচি ২ চামচ
- থেতলানো রসুন ১ টেবিল চামচ
- জিরা বাটা ১ টেবিল চামচ
- হলুদ
- লবণ পরিমান মতো
- আধা কাপ চালের আটা বা ময়দা
- আধা চামচ গুড়া মরিচ
- তেল দুই চামুচ
- ধনিয়া পাতা পরিমান মত
- ঘি ১ চামচ
- দারুচিনি একখণ্ড
- বড় এলাচ বা কালো এলাচ ১টি
প্রস্তুত প্রণালী : বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট
প্রথমে পাতাকপি ঝুড়ি করে কেটে নিতে হবে। তারপর আলুর ছাল ছড়িয়ে নিয়ে চার খন্ড করে কেটে নিতে হবে এবং ছয়টা কাঁচা মরিচ আস্ত রাখুন এবং বাকি চার-পাঁচটা মাঝখান দিয়ে কেটে নিন। পাতাকপি ও আলুগুলো ধুয়ে একটি বড় কড়াইয়ে বসিয়ে দিন। তাতে চিঁরে রাখা মরিচ, পেঁয়াজ, জিরা বাটা, হলুদ, লবণ, গুড়া মরিচ, দারুচিনি, বড় এলাচ এবং তিন কাপ পানি দিয়ে দিন। চুলা মিডিয়াম আঁচে রেখে জাল দিতে থাকুন, ১৫-২০ মিনিট পর আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে বড় চামচ বা ঘুটনির সাহায্যে আলুগুলো আধ ভাঙ্গা করে নিন
আরো পড়ুন : শুটকি ভুনা রান্নার নিয়ম। যেভাবে বাড়াবেন শুটকির স্বাদ
এরপর একটি কাপে আধা কাপ চালের আটা বা ময়দা পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে আলু এবং কপির মধ্যে দিয়ে দিন। তারপর ভালো করে নাড়ুন এবং দুই কাপ পানি দিন, পানি ফুটতে শুরু করলে এটি নামিয়ে রাখুন।
এবার অন্য একটি পাত্র বসিয়ে তাতে এক চামচ তেল দিন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে পেঁয়াজ কুঁচি এক চামচ এবং রসুন কুঁচি এক চামচ ঘি এক চামুচ দিয়ে দিন। পেঁয়াজ এবং রসুন লাল হয়ে গেলে তাতে পূর্বের রান্না করা পাতাকপি এবং আলুগুলো দিয়ে দিন। এবার ধনিয়া পাতা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন তৈরি হয়ে গেল ভিন্ন স্বাদের পাতাকপি ঘন্ট। বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট ভাত অথবা রুটি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আরো পড়ুন : তেঁতুল দিয়ে ডিমের কোরমা
উপসংহার : বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট
আমাদের দেশের শীতকালীন সবজি পাতাকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি। তবে অনেকেই পাতাকপি ভাজি খেতে পছন্দ করেন না তবে তাদের জন্য আজকের এই রেসিপি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পাতাকপি ঘন্ট আপনার স্বাধের জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এই রেসিপিতে বর্ণিত প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট করতে পারেন পোস্টটি অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
Sundor recipi