শিরক ও অপবিত্রতা
মুত্র ও সহবাসের পর পবিত্রতা ইসলামে কতটা জরুরী? আল্লাহর অপছন্দের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট দুটি পাপকর্ম শিরক ও অপবিত্রতা। শিরক ও অপবিত্রতা ব্যাপারে জানতে হলে এই পোস্টটি মনযোগ দিয়ে পুরোটা পড়ে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রদৈহিক পবিত্রতা অর্জনের আগেই আত্মীক পবিত্রতা অর্জন করা প্রয়োজন, অন্যথায় আত্মীক পবিত্রতা ব্যতিত দৈহিক পবিত্রতা অর্জন হবে না।
আরো পড়ুন : দুনিয়ার মহব্বত সমস্ত গুনাহের মূল
শিরক ও অপবিত্রতা
বাতিলকৃত ধর্মসমূহের অনেক সাধক মুর্তিতে বিশ্বাস বা অবতার শক্তির বিশ্বাসের মাধ্যমে স্রষ্টার গুণগান ও ইবাদত উপাসনার চেষ্টা করছে এবং তারা পরম বিশ্বাসে মনে করছে আমরা খুব সুন্দর ভাবে ধর্ম পালন করছি। আ-হা! পরিতাপ! তারা যদি বুঝতে পারত একক স্রষ্টাই সকল ক্ষমতার উৎস তিনি স্বীয় একক জাতস্বত্বায় অন্য কোন বাজে শক্তির উপস্থিতি দেখতে পেলে মহাক্রোধে ক্রোধান্বিত হন এবং তাদের সেই সব পন্ডশ্রম উপাসনার দিকে ভ্রুক্ষেপও করেনা। তারা যদি সকল অংশীবাদ পরিহার করে একক স্রষ্টাতে বিশ্বাসী হতো তবে তাদের জন্য কতই না মঙ্গল হতো।
আরো পড়ুন : হালাল খাদ্য জিকির আল্লাহর নৈকট অর্জনে কতটা জরুরি
অংশীবাদীরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই অপবিত্র থাকে
অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের সাথে বলতে হয় যে অংশীবাদীরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্তই অপবিত্র থাকে। আর এ সম্পর্কে যা দু‘একটা কথা বলতে যাচ্ছি মনে হয় মনের এক ঘেয়েমী নফসের কারসাজিও পথ ভ্রষ্টগণ ব্যতিত কথা গুলোকে কেউ মূল্যায়ন না করে পারবেনা।
প্রশ্ন হচ্ছে সকলেই স্বর্গ স্বর্গ করে ব্যস্ত হয়ে জীবন অতিবাহিত করছে কিন্তু কিছু স্বর্গ গমনের উপযুক্ততা পবিত্রতার উপরে নির্ভরশীল। আমি হলফ করে বলতে পারি পবিত্রতা ব্যতিত কেউ স¦র্গারোহন করতে সক্ষম হবে না।
শিরককারীদের মুত্রের বা প্রস্রাবের অপবিত্রতা
অংশীবাদীগণ দু‘টি কারণে সারাজীবন অপবিত্র থাকতে বাধ্য হয়, অংশীবাদের দরুণ আত্মীক অপবিত্রতা তো বটেই, এছাড়াও আমাদের পানকৃত পানি উদরস্থ হলে তা শরীরের বিভিন্ন অংশের কার্যক্রম শেষে মুত্রনালী থেকে নির্গত হয়, কিন্তু অংশীবাদীগণের এই মূত্রের অপকারিতা ও অপবিত্রতা জ্ঞান না থাকায় এই মুত্র হতে পরিষ্কার হওয়ার নিমিত্তে মাটি বা পানির ব্যবহার করেন না(মহিলা বা পুরুষ)। যার ফলে তারা আমরণ অপবিত্র অবস্থাতেই স্বীয় জীবন অতিবাহিত করে থাকে। বিশেষতঃ তাদের এই অপবিত্রতা ক্ষণকালের বিষয় নয়, জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত। এমনকি এই অসূচি অবস্থাতেই তারা মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করে থাকে। আর এতে প্রধান সমস্যা হলো এই অপবিত্রতার কারণে তারা পরলোকে ভীষন আযাবে লিপ্ত হয়ে পড়বে, আর অপবিত্র হেতু জান কবজের ফেরেস্থা দ্বারা ভীষন কষ্টের সাথে তাদের প্রাণ হরণ করা হবে।
আরো পড়ুন : চুল ও নখ কাটার ইসলামিক নিয়ম
শিরককারীদের সহবাসে অপবিত্রতা
আরেক অপবিত্রতার ক্ষেত্র হচ্ছে স্ত্রী ব্যবহারের পর পবিত্রতার স্নান না করা। যদিও কেউ করে থাকে কিন্তু নিয়ৎ না করার কারণে সাত সাগরের সকল পানি দেহে সিঞ্চনেও সে পবিত্রতা অর্জনে সক্ষম হবে না। তাই সমস্যা হলো একক মহান স্রষ্টা যেহেতু অতীব পবিত্র এবং পবিত্র ছাড়া তিনি কোন কিছুই গ্রহণ করেন না। আর স্বর্গের স্রষ্টাও তিনি, স্বর্গরাজ্যও অত্যন্ত পবিত্র। অথচ অপবিত্রগণ কিভাবে তাতে প্রবেশের অনুমতি পাবে? তাই স্বর্গ, স্বর্গ করে লাভ নেই। উপরোক্ত প্রক্রিয়ার অওতা ভুক্ত ব্যতিত কস্মিন কালেও কেউ অপবিত্রভাবে স্বর্গে যেতে পারবেনা। স্বর্গ লাভের একমাত্র উপায় শিরক বিহীন খাটি ঈমান ছহীহ আমল, শুদ্ধ আকীদা এবং পবিত্রতার উপর নির্ভরশীল।
উপসংহার : শিরক ও অপবিত্রতা
প্রিয় পাঠক, লিখিত শিরক ও অপবিত্রতা পোস্টটি কবি সুধী মোজাম্মেল হকে এর ‘মানব জীবনের আয়না’ ধর্মতত্ত্বমূলক প্রবন্ধ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সম্মানীয় কবি সাহেবের “মানব জীবনের আয়না” ধর্মতত্ত্বমূলক প্রবন্ধটি ধারাবাহিকভাবে এই সাইটের সাহিত্য মেনুতে প্রকাশ করা হয়। আপনি এমন তথ্যবহুল আর রহস্যজনক আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাহিত্য পাতা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করুন।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url