সন্তান ধারণের সঠিক সময়

আপনি কি সন্তান গ্রহণ করে আপনার পরিবার শুরু করা কথা ভাবছেন? তাহলে আপনাকে জানতে হবে সন্তান ধারণের সঠিক সময় সম্পর্কে। এই পোস্টে গর্ভধারণের সঠিক সময় ও গর্ভধারণের সঠিক পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

সন্তান ধারণের সঠিক সময়
পোস্ট সুচিপত্র

সন্তান ধারণের সঠিক সময়

সন্তান গর্ভধারণের সঠিক সময় নির্বাচন বিবাহিতদের বা সচেতন দম্পতিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে সদ্য বিবাহিত দম্পতি যারা পরিবার শুরু করার পরিকল্পনা করছেন তাদের এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। সন্তান গর্ভধারণের সঠিক সময় সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান গর্ভবতী ও গর্ভের সন্তানের জন্য অধিক গুরুত্ব বহন করে। গর্ভকালীন সময়ের বিভিন্ন পরিস্থিতি বা চ্যালেঞ্জগুলো কাটিতে তুলতে গর্ভধারণের পূর্বেই সে সম্পর্কে জেনে নেয়া জরুরী। সন্তান ধারণের সঠিক সময় কেন গুরুত্বপূর্ণ এর বিবেচনার নিম্নে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থায় চালতা খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভধারণের জন্য মানসিক প্রস্তুতি

প্রতিটি সচেতন দম্পতির জন্য গর্ভধারণের জন্য মানসিক প্রস্তুতি অতি গুরুত্বপূর্ণ। আর এ জন্য দুজনের মধ্যে খোলাখুলি আলোচনা বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। আর একে অপরের উপর আস্থার পরিমান অনেক বেশি কার্যকর অর্থাৎ একে অপরের প্রতি কতটুকু আস্থাবান তার উপর নির্ভর করে সন্তান ধারণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। অন্যথায় সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে। ফলে গর্ভের সন্তান ঝুকির মুখে পতিত হতে পারে। আর তাই সম্পর্কের স্থিতিশীলতা এবং ব্যক্তিগত প্রস্তুতি সহ সন্তান নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার মানসিক বা মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলিকে অগ্রাধিকার দেয়া জরুরী।

সন্তান ধারণের সঠিক সময়


সন্তান ধারণের জন্য সঠিক বয়স নির্ধারণ

জৈবিক দৈহিক দৃষ্টিকোণ থেকে গর্ভধারণের জন্য বয়সসীমা নিয়ে আলোচনা করা প্রত্যেক দম্পতিদের জন্য একান্ত জরুরী। একটি সুস্থ, সবল ও নিরোগ সন্তান জন্মদানে মায়ের বয়সের ভূমিকা প্রচুর। সন্তান জন্মদানে মায়ের বয়সের দিক বিবেচনা না করলে গর্ভকালীন বা গর্ভপরবর্তী বিভিন্ন জটিলতা দেখা যেতে পারে। বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে যে, মেয়েদের ক্ষেত্রে ২৩ থকে ৩৩ পর্যন্ত গর্ভধারণের জন্য পরিপূর্ণ ও উপযুক্ত সময়। মেয়েদের ওবুলেশনের হার অনেক বেশি থাকে আর ৩৫ বছরের পর তা ধিরে ধিরে কমতে থাকে। ফলে ৩৫ পরবর্তী সময়ে মেয়েদের জন্য গর্ভধারণ অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরে। অপরপক্ষে সন্তান জন্মদানে স্বক্ষমতার দিক দিয়ে ছেলেদের বয়সও অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ছেলেদের বয়স বাড়ার পাশাপাশি তাদের শুক্রসর কমে যাওয়াসহ স্পার্ম এর পরিমান কমতে থাকে। তাই সন্তান ধারণের জন্য পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই উর্বর বয়স নির্বাচন করা বাঞ্চণীয়। এ ব্যাপারে সঠিক পরামর্শ পেতে সন্তান জন্মদানের পূর্বে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে আলোচনা করে নিওয়া যেতে পারে। বিস্তারিত আরো জানতে এখানে চাপ দিন

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা

স্বাস্থ্য এবং লাইফস্টাইল

সন্তান ধারণের পূর্বে প্রতিটি দম্পতিকে একে অপরের লাইফ স্টাইল সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন। আপনার সঙ্গী কেমন জীবনধারা পছন্দ করেন? তার পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে সন্তান জন্মদানে প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। সেই সাথে স্বাস্থ্যের কথা না বললেই নয়। দম্পতিদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা কি? সে সম্পর্কে জেনে নেয়া দরকার। গর্ভাবস্থা চলাকালীন সময় মেয়েদের শারীরিক বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া লক্ষ করা যায়। আর সেই প্রতিক্রিয়াগুলো তার জন্য কতটুকু সহনীয় তা নির্ভর করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ভাল মন্দের উপর। সবচেয়ে লক্ষনীয় যে, সামগ্রিক সুস্থতা সন্তান জন্মদানে দম্পতিদের উভয়ের জন্য উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহয়তা করে। আর তাই সন্তান জন্মদানের প্রস্তুতিতে একে অপরের স্বাস্থ্য ও লাইফস্টাইল সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করে নেয়া প্রয়োজন।

আরো পড়ুন : গর্ভাবস্থায় জলপাই খাওয়ার উপকারিতা

উপসংহার : সন্তান ধারণের সঠিক সময়

প্রিয় পাঠক, সন্তান ধারণের সঠিক সময় সম্পর্কিত পোস্টটি পরে আপনি নিশ্চই বুঝতে পেরেছেন সন্তান জন্মদানের পূর্ব প্রস্তুতি ও গর্ভধারণের সঠিক সময় সম্পর্কে। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করবেন, কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url