ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানতে চান? এই পোস্টে ডায়রিয়া রোগ সম্পর্কে জ্ঞানমূলক যাবতীয় তথ্য প্রদান করা হলো। বিস্তারিত শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ
পোস্ট সূচিপত্র

ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

বিশ্ব স্বাস্থ্য উদ্বেগ সৃষ্টিকারী উল্লেখযোগ্য একটি রোগ হলো ডায়রিয়া। বিশ্বের প্রায় সকল দেশেই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ডায়রিয়া রোগটি বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। একটি কার্যকরী চিকিৎসা সেবা এবং এর প্রতিরোধের কৌশল ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান অর্জন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডায়রিয়াজনিত রোগের চিকিৎসায় ও প্রতিরোধে বহুমুখী পদ্ধতি রয়েছে। যেমন, ওরস্যালাইন - ওআরএস (ORS), জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টেশন, মহামারী কিনা তার নিশ্চিত হওয়া, প্রতিকার ও প্রতিরোধে ক্রমাগত গবেষণা, ভ্যাকসিন প্রদান, ওয়াশ এর প্রচারণা এবং শিশুদের আবশ্যিকভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো।ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি প্রত্যেকের জেনে রাখা প্রয়োজন।

আরো পড়ুন : শিশুদের ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষন সমূহ ও চিকিৎসা 


ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ডায়রিয়া হলে ওরস্যালাইন বা Oral Rehydration Solution (ORS)

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ বা চিকিৎসা হিসেবে প্রথম ওরস্যালাইন বা Oral Rehydration Solution (ORS) খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। ওআরএস (ORS) বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না পেলে আধা লিটার বিশুদ্ধ পানি, এক চামুচ চিনি এবং এক চিমটি লবণের মিশ্রণের সাহায্যে সহজেই বানানো যায় ওরস্যালাইন। ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা হিসেবে ওরস্যালাইন খুবই সহজ এবং কার্যকরী।  ওরস্যালাইন বা ওআরএস (ORS) দেহের হারানো পানি বা পানি শুণ্যতা এবং ইলেক্ট্রোলাইটগুলিকে পূরণ করতে সাহায্য করে।


ডায়রিয়ায় সম্পূরক জিংক

ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে শিশুদের জন্য জিংক অত্যান্ত কার্যকরী। ওরস্যালাইন বা ORS এর পাশাপাশি জিংক সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য 10-14 দিনের জন্য 20 মিলিগ্রাম করে জিঙ্ক ট্যাবলেট একটি সম্পূরক চিকিৎসা হতে পারে। ডায়রিয়ায় সম্পূরক জিংক রোগটিকে দ্রুত নিরাময় করতে পারে। 

আরো পড়ুন : হাত পা কেটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কার্যকরী টোটকা


ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

ডায়রিয়ার চিকিৎসা : ডায়রিয়া রোগের প্রতিরোধ

ডায়রিয়া রোগের প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা এবং চিকিৎসার জন্য নতুন নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন চলমান রয়েছে। উন্নত ওরাল রিহাইড্রেশন ফর্মুলা (oral rehydration formulation), জিঙ্ক সাপ্লিমেন্টেশন এবং রোটাভাইরাস ভ্যাকসিন ডাইরিয়া প্রতিরোধে ব্যাপক কার্যকরী। এই কৌশলগুলি বিশ্বব্যাপী ডায়রিয়ায় মৃত্যুহার হ্রাস করছে ও এ রোগ প্রতিরোধের প্রচেষ্টাকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ।

ডায়রিয়াজনিত রোগ কমাতে কার্যকরী এবং তুলনামূলক কম ব্যয়বহুল পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে ভ্যাকসিন, পানি বিসুদ্ধকরণ বা স্যানিটেশন এবং ব্যাপকভাবে হাইজিন (WASH) অনুশীলন। সেই সাথে আবশ্যিকভাবে শিশুদের মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর প্রচাোভিযান। গবেষণায় দেখা গেছে এই পদক্ষেপগুলিকে একত্রিত করে বাস্তবায়ন করতে পারলে ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ এবং চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা যাবে।

আরো পড়ুন : শিমুল গাছের মূল খেলে কি হয়?

উপসংহার : ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ

প্রিয় পাঠক, ডায়রিয়া রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধ বিষয়ক পোস্ট টি পরে নিশ্চই আপনি জানতে পেরেছেন ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করতে পারেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url