মেয়েদের বাধক রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা
মেয়েদের বাধক রোগ সম্পর্কে অনেকেই জানে না। বাধক মেয়েদের এমন একটি রোগ যা ধিরে ধিরে বন্ধ্যাত্ব পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। বাধক রোগ কি? বাধক রোগের লক্ষণ, মেয়েদের বাধক রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা সহ বাধক রোগের তিনটি ঔষধ সম্পর্কে এই পোস্টটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
পোস্ট সূচিপত্রমেয়েদের বাধক রোগ কি ?
মেয়েদের বাধক রোগ কি? এ নিয়ে অনেকের অনেক ধরণের প্রশ্ন রয়েছে। এই পোস্টে মেয়েদের বাধক সম্পর্কিত সকল প্রশ্নে উত্তর পেয়ে যাবে আশা করি। সাধারনত চলতি ভাষায় রোগটি বাধক নামে পরিচিত। এ রোগটি মেয়েদের প্রিয়ড বা মাসিকের সময় প্রবল রক্তক্ষরণ রোগের অন্তর্গত। মেয়েদের মাসিকের সময় প্রবল রক্তক্ষরণ অথবা মাসিক দীর্ঘ দিন পর পর হওয়া বা মাসিক হলেও খুবই কম পরিমান রজস্রাব হওয়া ও সর্বাঙ্গে ভিষন ব্যাথা অনুভব হওয়া এ রোগের প্রধান লক্ষণ। এটি মেয়েদের জন্য খুবই অসহনীয়, অস্বস্থি ও বিরক্তিকর একটি রোগ। আবার অনেক নারীরা জানেই না যে তার বাধক রয়েছে। আর দীর্ঘ দিন এই রোগ থাকলে বন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার আসঙ্কা থাকে। তাই বাধক ব্যাপারে সঠিক জ্ঞান থাকা প্রতিটি নারীর জন্য একান্ত প্রয়োজন।
আরো পড়ুন : ছেলেদের কাম শক্তি বৃদ্ধির ঔষধ শতভাগ কার্যকরী
বাধক রোগের লক্ষণ
বাধক রোগ নানা প্রকারের হয়ে থাকে। কোন বাধকে কটি, নাভির নিম্নভাগ, নাভির দুই পাশে ও স্তনে প্রচুর ব্যাথা হয় এবং কখনো কখনো এক মাস বা দুই মাস ধরে মাসিক বা প্রিয়ড চলতে থাকে। কোন বাধকে চোখ, হাতের তালু ও যোনিতে জ্বালা পোড়া, লালা সংযুক্ত স্রাব এবং কখনো কখনো একমাসের মধ্যে দুইবার মাসিক হতে দেখা যায়।
কোন বাধকে মানসিক অস্থিরতা, শরীরে ভার বোধ হওয়া, অধিক রক্তস্রাব, হাত-পা জ্বালা করা, দুর্বলতা, ক্লান্তিসহ নাভির নিচে শূলের মতো ব্যাথা হয়ে থাকে। কখনো কখনো তিনমাস বা চারমাস পরপর মাসিক বা প্রিয়ড হয়ে থাকে। সে সময়ে অল্প পরিমান রাজ স্রাব হয়, স্তনদ্বয়ের গুরুতা ও স্থুলতা, দেহের ক্লান্তি দুর্বলতা ও যোনিতে শূলের মতো ব্যাথা হয়ে থাকে। কোন কোন বাধকে রজস্রাব একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু প্রতি মাসের শেষে নির্দিষ্ট সময়ে তলপেটে, কটিতে, স্তনে এবং সর্বাঙ্গে দারুণ যন্ত্রণা শুরু হয়। প্রায় সকল বাধকেই মাঝে মাঝে যোনিদ্বার দিয়ে অল্প অল্প শ্বেতস্রাব নির্গত হয়ে থাকে।
মেয়েদের বাধক রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা
মেয়েদের বাধক রোগের ঔষধ ও চিকিৎসা এর মধ্যে সবথেকে ভাল হলো আয়ুর্বেদিক, ভেষজ ও গাছ-গাছরার ঔষধ গুলো। এই রোগটি এমন একটি রোগ যা সহজেই সারে না। একটু সময় নিয়ে বেশ কিছুদিন আয়ুর্বেদিক, ভেষজ ও গাছ-গাছরার ঔষধ খেলে নিরাময় হতে পারে। এখানে বাধক রোগের তিনটি ভেষজ ও প্রাকৃতিক ঔষধ উল্লেখ করা হলো। এই ঔষধগুলো তৈরীতে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সবার কাছেই অপরিচিত লাগতে পারে। বিভ্রান্ত না হয়ে ঔষধগুলোর উপকরণগুলো পেতে ছোট বড় বিভিন্ন হাট-বাজারে আয়ুর্বেদিক, ভেষজ ও গাছ-গাছরার দোকান গুলোতে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন : জন্ম নিয়ন্ত্রন বড়ি খাবার নিয়ম
বাধক রোগের ঔষধ - ০১
যেহেতু বাধক রোগ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তাই এর ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা রয়েছে। যে বাধক রোগে রজঃস্রাব বেশি হয়। বেশিদিন রক্ত ক্ষরণ হয়ে থাকে। নাভিমুল, স্তনসহ সর্বাঙ্গে ব্যাথা হয়। সে ক্ষেত্রে মুসব্বর, হিরাকস, আফিং ও দারুচিনি, প্রতিটির চূর্ণ ১০ গ্রাম করে একসঙ্গে অল্প পরিমান পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে ৫ গ্রাম পরিমান বড়ি তৈরি করতে হবে। এই বড়ি দিনে ২ বার পানিসহ খেলে এ রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
বাধক রোগের ঔষধ - ০২
পূর্বেই বলেছি, বাধক রোগ বিভিন্ন রকমের হয় বলে এর ঔষধ ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা আছে। যেসব বাধকের ক্ষেত্রে প্রিয়ড বা মাসিক হয় না বা দীর্ঘদিন পর পর হয়। মাসিক না হলেও মাসের নিদ্দিষ্ট সময়ে পুরো শরীর প্রচন্ড ব্যাথা হয়, শারীরিক দুর্বলতা, ক্লান্তি বোধ হয় সেই সাথে মাসিক হলেও রজস্রাব খুবই কম হয় ও যোনিপথ ব্যাথা হয়, সেক্ষেত্রে তিতো লাউয়ের বীজ, দস্তীমূল, পিপুল, গুড় ময়নাফুল, যষ্টিমধু, মূলাবীজ, মনসা বীজ এর আঠার সঙ্গে সকল দ্রব্যের চুর্ণ মিশিয়ে সেই মিশ্রনটি যোনি পথসহ এর চারদিকে লাগালে দ্রুত মাসিক বা প্রিয়ড শুরু হবে ও এ রোগ নিরাময় হয়ে যাবে।
আরো পড়ুন : বুকের দুধ বৃদ্ধির ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপায়
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url