মেয়েদের সম্পর্কে আমাদের জানা আগ্রহ অনেক বেশি। বিশেষ করে ছেলেরা মেয়েদের সম্পর্কে জানতে প্রচুর ইচ্ছা পোষণ করে থাকে। আর সৃষ্টি জগতে পুরুষ জাতীর জন্য নারী বা মেয়েদেরকে প্রবল আকর্ষণীয় করে তৈরী করা হয়েছে। এই পোস্টে মেয়েদের সম্পর্কে এমন কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ করা হবে যা সত্যিই জ্ঞানগর্ভমূলক। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন আর জেনে নিন মেয়েদের সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য।
পোস্ট সূচিপত্র
মেয়েদের সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য
নারী বা মেয়েদের সম্পর্কে জানার শেষ নেই। আগেই বলেছি নারীরা বা মেয়েরা পুরুষের জন্য প্রবল আকর্ষণের জিনিস। এই আকর্ষণ থেকেই হয়তো নারীদের বিষয়ে পুরুষদের জানার আগ্রহ তৈরী হয়েছে। নারীদের গোপণ বিষয়ে জানার কোন শেষ নেই। নারীদের ব্যাপারে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো পৃথিবী সৃষ্টির এতো বছর পরেও মানব জাতি জানতে পারে নি। এই পোস্টে মেয়েদের ব্যাপারে ছোট্ট একটি গোপণ তথ্য তুলে ধরা হবে। আর কথা নয় চলুন জেনে নেয়া যাক সংক্ষিপ্ত আকারে মেয়েদের সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য।
একটি বির্তকীত বিষয়ের আলোচনার সম্মুখীন হচ্ছি। কার সৌন্দর্য বেশী ছেলেদের নাকি মেয়েদের? বিষয়টা এক তরফা ভাবে অথবা অমীমাংসিত প্রসঙ্গরুপে আবহমান কাল থেকে চলে আসছে। যদি কেউ কাউকে প্রশ্ন করে যে, কার সৌন্দর্য বেশী পরুষ নাকি নারীর? সে হয়তো চটকরে বলে বসবে নারীদের।
কোন মেয়েকে যদি প্রশ্ন করা যায় কার সৌন্দর্য বেশী সে হয়ত কিছুক্ষন ইতস্তত করে অন্যদের নিকট শোনা আবহমান কালের বুলিটুকু আওড়িয়ে বলে বসবে যে “মেয়ের” কোন কোন মেয়ে আবার স্বীয় সজাগ মতবাদ ব্যক্ত করে বলে থাকবে মনে হয় পুরুষ সৌন্দর্যই বেশি।
যাহোক মুল তথ্য হলো রুপ ও সৌন্দর্য এক জিনিস নয়। মেয়েদের দেহে লাবন্যের ভাগ বেশী, অধিকাংশ মেয়ের হয়তো রুপ আছে লাবন্য আছে, কমনীয়তা আছে কিন্তু সৌন্দর্য নেই। কারো হয়তো সৌন্দর্য আছে, কিন্তু রুপ নেই। অনেক কলো মেয়ে আছে যার সৌন্দযের্র কাছে দশটি ফর্সা মেয়ের রুপ অতি তুচ্ছ বলে পরিগনীত।
রুপ বলতে ফর্সা ত্বক বিশিষ্ট দেহকে আমরা বুঝে থাকি। কালোদের কিন্তু রুপ আছে সেটার নাম কালো রুপ, সবুজেরও রুপ আছে তার নাম সবুজ রুপ, অথচ আমরা রুপ বলতে শুধু মাত্র ফর্সা ত্বক বিশিষ্টা রমনীকে বুঝে থাকি।
কিন্তু সৌন্দর্য্য বা সুন্দর বলতে এমন আকর্ষনীয় দেহ কাঠামোকে বোঝানো হয়ে থাকে যার দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গ জোড়লো আর গঠন প্রনালী সুগভীর, তাকে দেখা মাত্রই দেহের সর্বাঙ্গ সুন্দর গঠন প্রাণালী দর্শকদের মনকে প্রভাবিত করে অবাক আর বাকহীন বানিয়ে দেয়।
কুকুরীর (স্ত্রী কুকুর) তুলনায় কুকুরের (পুরুষ কুকুর) সৌন্দর্য অধিক চমকপ্রদ।
পুরুষ জাতিয় জীবদের গঠন প্রণালী জোড়ালো ও জমকালো তাই পুরুষ বাচক জীবদেরকেই সুখদ সৌন্দর্র্যের প্রতীক বলে মনে হয়। একটি মোরগের চিত্তকর্ষক সৌন্দর্যের সাথে কি মুরগীর সৌন্দর্য্যরে কখনো তুলনা হতে পারে? একটি গাভীর তুলনায় কি একটি ষাড়ের সৌন্দর্য অধিক জোড়লো আর মনোমুগ্ধকর নয়?
বিপরীত লিঙ্গ হওয়ায় ছেলেদের চোখে মেয়েদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ পায়
এক কথায় পুরুষরাই সৌন্দর্য্যরে গুনকীর্ত্তনের মধ্যে অ্যাকটিভ বা শ্রেষ্ঠ, নারীরা প্যাছিভ বা চাপা। স্বভাবগতভাবে পুরুষরা ভোগী হওয়ায় ভোগ্য বস্তুর গুনকীর্ত্তন করে থাকে এতে তাদের দোষের কিছু মনে করা হয় না। কিন্তু নারীরা কোন পুরুষের প্রকাশ্যে গুনকীর্ত্তন করলে সকলেই তাকে ভুল বা ভ্রষ্টা ভাবতে পারেন। এজন্যই কোন পুরুষ ছেলের সৌন্দর্য কোন মেয়ের নিকট আকর্ষনীয় মনে হলেও তা তাদের মনের গহীন কন্দরেই উকি ঝুকি করে থাকে। কিন্তু কোন মেয়ের মুখে তা প্রকাশ পায়না। তাছাড়া বিপরীত লিঙ্গের কারনে একের নিকট অপরের সৌন্দর্য ভাল লাগবেই এতে কোন সন্দেহ নেই।
যাহোক আমাদের দেশে পুরুষরা যেসব পোষাক পরিধান করে থাকে তা পুরুষদের সৌন্দর্য বর্ধক জাতীয় পোশাক নয়। নারীদের যে সৌন্দর্য পুরুষের চোখে পরিস্ফুটন হয় তা তাদের শাড়ী গহনার চমকে সাময়িক ভাবে ঘটে থাকে এবং কিছুটা মোহনীয় ভাবেরও সৃষ্টি করে থাকে। এই মোহনীয় মাধুর্য উপভোগ করার জন্যই (এক মেয়ের প্রতি আরেক মেয়ের আকর্ষণ না থাকা সত্যেও) কোন মেয়ের বিয়ের পর গ্রামের মহিলাগণ ঝাকে ঝাকে কনে দেখতে এসে থাকে এবং মুগ্ধ বৎ প্রশংসা মুলক দৃষ্টিতে ঘোমটায় নিচে কনের কাজল পরা ডাগর চোখের চাহনী উপভোগ করে থাকে। কিন্তু কিছুদিন পর সেই বউটির সজ্জা খসে পড়লে যে কোন নগন্য কারনে অন্য মেয়েরা বিনা দ্বিধায় সেই কনের সাথে ঝগড়া বাঁধাতেও লজ্জা বোধ করে না।
একবার আমাদের দেশের স্বনামধন্য নায়ক আব্দুল মান্নান কোন এক সিনেমায় বাদশাহী পোষকে সজ্জিত হলে তার পাশে যখন নায়িকা রাজ কুমারীর আগমন ঘটলো তখন আমার মনে হতে লাগলো পুরুষ জাতীয় এই বাদশাহী পোষাকে নায়ক আব্দুল মান্নানের পাশে নায়ীকা রাজকুমারীর সৌন্দর্য যেন পূর্ণিমার চাদের পাশে খুব উদীপ্ত একটা তারকার অবস্থান বৈ কিছু নয়।
বিপরীত লিঙ্গ হিসাবে তো নায়িকার সৌন্দয্যেই আমার চোখে ভালো লাগা উচিৎ ছিলো। আবশ্য আলাদাভাবে নায়িকাকেও যে ভালো লাগছিল না এমন নয় কিন্তু একত্রের অবস্থানের তুলনামুলক সৌন্দর্য বিশ্লেষন করতে গিয়ে নায়কের সৌন্দর্য অতুলণীয় মনে হচ্ছিল।
পুরুদের তূলনায় নারীদের লাবন্য বেশি হয়
ব্যাপারটা আরোও বিশ্লেষন করলে এই দাড়ায় যে, পুরুষ বা ছেলেদের আঙ্গিক গড়ন ও গঠন প্রনালী অতি সুগভীর আর জোরালো, আর মেয়েদের গঠন প্রনালী অনেকটা স্লাইট বা হালকা ভাবের। যার ফলে পরীক্ষনীয় সত্য এই দাড়ায় যে, কোন মেয়েকে পুরুষের পোষাক পরালে তাকে তেমন একটা ডিল-সুডৌল চেহেরায় ছেলে বলে অনুমিত হয় না। কিন্তু কোন কিশোর ছেলেকে মেয়ের পোষাকে সজ্জিত করলে তাকে মেয়েদের চেয়েও অধিক সুন্দরী বলে অনুমিত হতে থাকে।
আর একটি তাৎপর্য এই যে, পুরুষ ভোমর জাতি এই কারনে তারা নারীকে ফুলের মত ভোগ্য বিবেচনায় সর্বদা নারীর রুপ মাধুর্য্যরে প্রশংসা বিকাশের লক্ষ্যে গান, কবিতা, সাহিত্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মত সর্বদা নারীর গুনকীর্ত্তণ করে থাকে। এতে করে পুরুষদের সেই নারী সৌন্দর্য্যমূলক বাক্য শুনে শুনে নারী ও পুরুষরা স্বভাবতই ধারনা করে নিয়েছে যে, নারীরা বোধহয় ভীষন সুন্দর, তবে পুরুদের তূলনায় নারীর লাবন্যের ভাগ বেশি এটাও নারী পুরুষের সৌন্দর্য নির্ণয়ে বিভ্রান্তির আরেকটি কারণ হতে পারে।
শেষ কথা : মেয়েদের সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য
প্রিয় পাঠক, মেয়েদের সম্পর্কে কিছু গোপন তথ্য বিষয়ক এই পোস্ট টি কেমন লাগলো জানিয়ে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। পোস্টটি কবি সুধি মোজাম্মেল হক রচিত ‘নারী চিত্র’ গ্রন্থ থেকে নেয়া হয়েছে। লেখকের নারী চিত্র গ্রন্থটি নারী তত্ব বিষয়ক একটি জ্ঞানগর্ভমুলক সংস্করণ। লেখকের এমন আরোও অনেক মজাদার লেখা পেতে আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আর হ্যা, পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করবেন। ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url