দাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা
দাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানাতে আজকে আমাদের এই পোস্ট। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ে দাদ বা দাউদের ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রদাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা
দাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা বিষয়ে অনেকেই জানতে চান। যারা দাউদের প্রাকৃতিক ভাবে চিকিৎসা করতে চান তারা পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। পোস্টটিতে দাদ বা দাউদের প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া চিকিৎসা সহ গাছ গাছড়া ও ভেষজ ঔষধ সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া হবে। দাদ বা দাউদের চিকিৎসায় এই পোস্টে বর্ণিত সকল ধরনের তথ্য বিভিন্ন আদি ও পুরাতন হেকিমি বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এখানে বর্ণিত কোন তথ্য বা ভেষজ গাছের বর্ণনা মনগড়া দেয়া হয়নি। তাই দাউদ সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ এবং রানের চিপায় দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে গ্যারান্টি যুক্ত ঔষধ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে অবশ্যই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন।
দাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত এই পোস্টটিতে দাদ এবং দাউদের ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক ঔষধ সম্পর্কে জানার পূর্বে বেশ কয়েকটি ভেষজ গাছের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হবে। যে ভেষজ গাছগুলো শুধু দাউদ নয় বরং আদিকাল থেকে ত্বকের বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। এই ভেষজ গাছগুলো অনেকে চিনে থাকবেন আবার অনেকেই চিনবেন না। তাই এই পোস্টে দাঁত বা দাউদের ঔষধ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানার আগে জেনে নিন সেই ভেষজ গাছগুলো সম্পর্কে।
নিম : দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা
বাংলা নাম নিম, ইউনানী নাম শফিকুল আসদার, ইংরেজি নাম Margosa ও বৈজ্ঞানিক নাম Azadirachta indica | এটি বেশ বড় ধরনের গাছ| আবহাওয়ার কারণে দুই থেকে ৪০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয় বহু শাখা প্রশাখায় ভরা থাকে| গাছ কাটা বাকুল দ্বারা আবৃত থাকে| পাতার রং গাঢ় সবুজ হাই| চৈত্র মাসের পুরাতন পাতা ডাল থেকে পড়ে যায়| ফাল্গুন মাসে নতুন পাতা গজায় বর্ষার শুরুতে গাছে ফুল ফোটে ফুলের রং সাদা| নিম গাছ দেখতে একই রকম হলেও যে চারটি শ্রেণি রয়েছে, সাধারন, ঘোড়া, কার্পাস ও ভুঁই নিম। বাংলাদেশের প্রায় সমস্ত এলাকাতেই নিম গাছ নিজে থেকেই হয়। তাছাড়া বিশ্বের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ভারত দ্বীপপুঞ্জ পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা মায়ানমার মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া জাপান আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার ট্রপিকাল অঞ্চলে এটি বেশি জন্মে। নিমের ফাঁকা হল মাটিতে পড়লেই নিজে থেকেই নিমের চারা বের হয়।
নিম গাছের প্রচুর গুনাগুন রয়েছে, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রে আদিকাল থেকে এটি বেশ জনপ্রিয়। সেইসাথে ইসলাম ধর্মে সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম গাছের গুণাগুণ সম্পর্কে বলে গেছেন।
দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসায় বা দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে নিম গাছ আদিকল থেকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিম গাছ একাধারে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে, দাঁতের রোগে, ফোড়া ফাটাতে, জন্ডিস রোগে, নাসা রোগে, ম্যালেরিয়ায়, হাত-পায়ে জ্বালা-পোড়ায়, অম্ল পিত্তে, স্বাস্থ্য বর্ধনে, চোখের জ্বালা পোড়ায়, পাইওরিয়ায়, হাঁপানি ও কাশি রোগে ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় দাদ ও দাউদের চিকিৎসায় নিমপাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই সংক্ষিপ্ত আকারে নিম পাতার পরিচয় প্রদান করা হলো।
দুধলতা : রানের চিপায় দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা
বাংলা নাম দুধলতা, এটির আরেকটি মান দুধিয়া, ইংরেজি নাম Snakeweed, বৈজ্ঞানিক নাম Euphorbia hirta ।দুধলতা একটি নরম ও সুক্ষ লোমযুক্ত বর্ষজীবী একটি লতানো গাছ। বসন্তের শুরুতেই গাছের পাতা সব ঝরে পড়ে।। আবার গরমের শুরুতে নতুন পাতায় গাছ ভরে যায়। পাতাচার থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা হয় এবং বহু শিরা থাকে পাতার গোটা আধা ইঞ্চির কাছাকাছি লম্বা হয়ে থাকে এবং অতিশয় আনত অবস্থায় থাকে কয়েকটি শাখা বিশিষ্ট হয়ে থাকে।
ফুল সাদা গোলাপি এবং বেগুনি রঙের হয়ে থাকে ফুলের মধ্যেও শিরা থাকে ফল দুই থেকে তিন ইঞ্চি লম্বা এবং সরু হয় ফলের মধ্যে অনেক বীজ পাওয়া যায় ফল দেখতে অনেকটা ডিমের মতো ওর চ্যাপ্টা বর্ষার শেষে গাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। শীতের শুরুতেই গাছে ফল ধরে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে হাওড়া ও পতিত জমিতে খুব অল্প সংখ্যক এই গাছ দেখা যায় এছাড়াও বিহারের কিশান্গঞ্জ এবং পূর্ণিয়া তে দীর্ঘদিনের মত পতিত জমিতে জন্মে থাকে।
বিভিন্ন রোগে দুধ লতা ব্যবহার হয়ে থাকে। দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসায় বা দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে দুধলতার জুড়ি নেই। এছাড়াও দুধলতা বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ, যেমন মুখের ও গলার ঘায়ে, বিষাক্ত ক্ষত ও ঘায়ে, জন্ডিস রোগে, খোসপাঁচড়ায়, অবিরাম জ্বর হলে, কৃমি রোগে ও কুষ্ঠ রোগে আদি আমল থেকে দুধ লতা গাছ আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে।
হাতিশুঁড় : দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা
বাংলা নাম হাতিশুঁর, হিন্দী নাম হাতিশুড়া, ইংরেজি নাম Indian heliotrope বৈজ্ঞানিক নাম Heliotropium indicum
হাতিশুর বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় একটি উদ্ভিদ। লম্বায় এক থেকে দু ফুট পর্যন্ত বাড়ে। কাণ্ড ফাঁপা ও বেশ নরম। গাছের প্রায় সব শাখা প্রশাখা খাড়া হয়ে থাকে। সাদা ছোট ছোট লোমে গাছের সর্বাঙ্গ ঢাকা থাকে। পাতা দেখতে ডিম্বাকৃতি তবে আগার দিকটা সরু থাকে। নিচের দিকে কোন লোম থাকে না। পুষ্পদন্ড অনেকটা হাতির শুরের মতো, সামনের দিকটা বাঁকানো। তাই এই গাছের নাম হাতিশুঁড় বলা হয়। ফুলের রঙ সাদা, তবে একটু বেগুনি ছোপ আছে। বর্ষার পর গাছে ফুল ফোটে এবং পরে ফল ধরে। বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই হাতিশুড় জন্মে থাকে।
আদিকাল থেকে আয়োর্বেদিক চিকিৎসা সাস্ত্রে হাতিশুড়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। হাতিশুড় বেশকিছু রোগে ভাল উপকার করে। যেমন, ব্রনের চিকিৎসায়, মাড়ির ঘা, বিছা বা বোলতা কামরালে, সন্নিপাত জ্বরে, চোখ ওঠায়, পাগলা কুকুর কামরালে, গরমজনিত ঘা হলে, ক্ষত ও ফোড়া হলে এবং ত্বকের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে। আর দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা, রানের চিপায় দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা বা দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়।
আরো পড়ুন : জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি খাবার নিয়ম
মেহেদী : দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ
বাংলা নাম মেহেদী, আরবী নাম হিন্না, ইংরেজি নাম Henna, বৈজ্ঞানিক নাম Lawsonin lam
মেহেদি গাছ গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ প্রজাতির ঘন শাখা ও পাতা বিশিষ্ট উদ্ভিদ। এটি সাধারণত দুই থেকে ছয় মিটার লম্বা হয়। পাতাগুলো সরল বিপরীতভাবে সাজানো থাকে। বৃত্তক দেখতে অনেকটা লেন্সের মতো এবং পাতার অগ্রভাগ সূচালো। পাতায় এক ধরনের গন্ধ থাকে। কান্ড ছোট ও আংশিক কাটাযুক্ত। ফুল ছোট ও গুচ্ছাকারে ফোটে। ফুলের রং হলুদ এবং সাদা। ফল আকারে মটর দানার সমান ধূসর বর্ণের। ফলের ভিতর ছোট ছোট অনেকগুলো বীজ থাকে। মেহেদীর জন্ম উত্তর আফ্রিকা এবং মিশরে। রংয়ের জন্য বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় মেহেদীর চাষ করা হয়। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই মেহেদী পাওয়া যায়।
মেহেদির অনেকগুলো ঔষধি গুনাগুন রয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মেহেদী পাতাকে বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করতেন। বিশেষ করে ফোড়া ফাটানোর জন্য শরীরে কাটা ফুটলে মাথাব্যথায় এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে, চোখ উঠায়, হাত পায়ের জ্বালাপড়ায়, কানে পুঁজ হলে, জ্বর মাথাব্যথায়, বিভিন্ন প্রকার প্রদাহে, চর্ম রোগে, শরীরে গন্ধ হলে, চুল উঠে যাওয়া বা পেকে যাওয়া রোগে ও পাইয়োরিয়া রোগে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে মেহেদীর জুড়ি মেলা ভার। রানের চিপায় দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা, দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবেও মেহেদী একটি উপকারী উপাদান।
আপাং : দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ
বাংলা নাম আপাং, হিন্দী নাম আপমার্গ, ইংরেজি নাম Rough Chaff tree বৈজ্ঞানিক নাম Lycium barbarum
আপাং একটি বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ মোট দুই ধরনের আপান দেখা যায় একটি রং লাল এবং অপরটি দেখতে সাদা যে পাতায় লাল দাগ থাকে তাকে লাল আপান বলে সাদা আপাং এর পাতায় কোন দাগ থাকে না পাতার আকৃতি গোল কবরস্থান থানাখন্দক আর মাঠে ময়দানের জন্মানো এক ধরনের ছোট গাছ আপনার জন্মায় তবে জমির উর্বরতা অনুযায়ী গাছের কয়েকটি পাতলা শাখা হয় এবং তাতে ছোট ছোট খাস কাটা পাতা থাকে। বীজ পেকে গেলে গাছের নিচে পড়ে যায় বর্ষার পানি পেয়ে তা থেকে আবার নতুন চারা গাছ বের হয় বর্ষজীবী গাছ হলেও এটিকে গরমের সময় ঠিকমতো যত্ন করা হলে বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে শরৎকালে গাছের মুকুল আসে তারপর ফল ধরে ফলের ভেতর বীজ কোষে বীজ থাকে এই বীজের অপর নাম অপমার্গ তন্তুল।
ভেষজ বা ঔষধি চিকিৎসায় আপান একটি অপরিহার্য উপাদান। রানের চিপায় দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা, দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে আপাং একটি উপকারী উপাদান। এছাড়াও অঙ্গ ফুলে যাওয়া, চুল পাকলে, দাদ রোগে, কলেরা রোগে, বিষাক্ত ক্ষতে, বাগী রোগে, ফোড়ার পুজ বের করতে, কাটা ও রক্তপাতে, গ্রহনী রোগে, অকাল স্রাবে, অশ্ব রোগে, আপাং বিশেষ উপকারী একটি ভেষজ ঔষধি গাছ।
আরো পড়ুন : স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ঔষধি গাছ ও ঔষধ
দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও ঔষধ
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ আপনারা ভেষজ গুণাগুণ সমৃদ্ধ কয়েকটি গাছের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পেলেন। এখন আমরা চলে আসবো আমাদের আজকের পোষ্টের মূল বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা নিয়ে। দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে এ পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
দাদ বা দাউদ আসলে একটি মারাত্মক চর্মরোগ। এবং খুবই বিরক্তিকর একটি রোগ যেটি সাধারণত প্রচলিত এলোপ্যাথিক বা হোমিও ঔষধ খেয়ে নিরাময় হলেও পরবর্তীতে আবার দেখা দিয়ে থাকে। অনেকেই রয়েছেন যারা আয়ুর্বেদিক বা ভেষজ গাছ-গাছড়া ব্যবহার করে প্রাকৃতিক উপায়ে চিকিৎসা করতে ভালোবাসেন। ঠিক তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট। প্রাচীন ও আদিকাল থেকে ব্যবহৃত লতাপাতা ও ভেষজ উদ্ভিদ দ্বারা প্রস্তুতকৃত দাদ বা দাউদের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থাকে এমন কিছু ঔষধ আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। এই ঔষধ গুলো আপনাকে বাড়িতে নিজ হাতে তৈরি করতে হবে। ঔষধে ব্যবহৃত উপাদান গুলো হাতের কাছে না পাওয়া গেলে আপনার আশেপাশের ছোট বড় যেকোনো হাটবাজারে বেনের দোকান বা আয়ুর্বেদিক গাছ গাছড়ার দোকান হতে উপাদান গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন। বর্ণিত ঔষধ গুলো দাদ বা দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার করে দেখুন অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।
দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ
এ পর্যায়ে আমরা দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ ঔষধ গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব। এখানে বেশ কয়েকটি ওষুধের কথা উল্লেখ করা হবে। যেগুলো ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। বরং আপনার শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে উপকার করবে। তাহলে আর কথা নয় চলুন দেখে নেওয়া যাক দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ সমূহ কি কি?
বন এলাচের বীজ থেকে তেল বের করে খাঁটি সরষের তেলের সঙ্গে দাদ, দাউদ ও পাঁচড়া জাতীয় বিভিন্ন রকম চর্মরোগে মালিশ করলে বিনা জালা যন্ত্রণায় দু চার দিনের মধ্যেই আরোগ্য হয়।
দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ: ০২
গর্জন তেল ২৪ গ্রাম কালকাসুনদের মূল বর্ষ বারো গ্রাম সোহাগা ১২ গ্রাম গন্ধক ১২ গ্রাম একসঙ্গে মর্দন করে দুদিন রোদে রেখে দাঁত বা দাউদের উপর প্রলেপ দিলে তিন দিনের মধ্যে দাদ বা দাউদ সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায়।
আরো পড়ুন : আলকুশি বীজের উপকারিতা
দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ: ০৩
গন্ধক চূর্ণ, সোহাগার খই চূর্ণ ও গন্ধ বিরোজা একসঙ্গে আগুনের তাপে ফুটিয়ে একটা চিনা মাটির পাত্রে ঢালতে হবে ঠান্ডা হলে সেটি একটি বাতাসার মতো হবে। সেই বাতাসাটি সামান্য জলে ভিজিয়ে নিয়ে নরম করে দাউদের উপর দুই তিনবার লাগালেই দাদ বা দাউদ আরগ্য হয়ে যায়।
দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ: ০৪
তাদের জায়গাটি ভালো করে চুলকে রস বের করে ন্যাকড়া দিয়ে সেই রস মুছে নিয়ে সেখানে বন পালং এর কয়েকটি পাতা একটু মুগ ডালের সঙ্গে একত্রে ঘষলে যে রস বের হবে তা দাদের উপর লাগালে যে কোন রকম দাদ নিশ্চয়ই আরোগ্য লাভ হবে এই ওষুধটি প্রতিদিন দুই তিন বার লাগাতে হবে।
দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ: ০৫
একটি লোহার পাত্রে গন্ধক ও কেরোসিন তেল একত্রে ঘষে দাদে লাগালে একদিনেই দাদ উপশম হয়। আপাং এর শিকড় জলে ঘষে দাদে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি দাদ আরোগ্য লাভ করে। দাদে চন্দন তেল লাগালে উপকার হয়। এ সকল ঔষধ প্রয়োগের সময় আক্রান্ত স্থানটি বেশি করে ঘষে প্রলেপ দিতে হবে।
দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ: ০৬
তুলসী পাতার রস ও সামান্য নুন বা লবন একত্রে মিশিয়ে দাদে ঘষলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়। সোহাগার খই ও গাওয়া ঘি মিশিয়ে লাগালে দাদ ভালো হয়, সেন্ধাল পাতা সোমরাজী বীজ জলে বেটে প্রলেপ দিলে অথবা কালকাসুন্দের শিকড় বেটে প্রলেপ দিলে দাদ সত্তর উপশম হয়।
উপসংহার: দাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা
প্রিয় পাঠাক, দাদের বা দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত এই পোস্টটি নিশ্চই আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন। পোস্টটি পড়ে আপনি জানতে পেরেছেন, দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা, দাউদের সবচেয়ে ভালো ঘরোয়া ঔষধ, রানের চিপায় দাউদের ঘরোয়া চিকিৎসা, দাউদের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ও সর্বপরি দাউদের প্রাকৃতিক ঔষধ সম্পর্কে। দাদ বা দাউদের মতো অস্বস্থিকর একটা চর্মরোগ নিরাময় করতে অবশ্যই আপনাকে একটু কষ্ট স্বীকার করতে হবে। আমাদের এখানে বর্ণিত ঔষধগুলো নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন কোন প্রকার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া দাদ আপনার শরীর থেকে পালিয়ে যাবে। পোস্টটি ভাল লাগলে বন্ধুদের সাথে সেয়ার করুন। কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানান। এ রকম আরো উপকারী পোস্ট পেতে নিয়মিত এই সাইটটি ভিজিট করতে ভুলবেন না।
ফ্লোনেস্ট বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url